গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিল ৯টি কৃত্রিম উপগ্রহ, সবকটাই স্কুল ছাত্রদের তৈরি
স্কুলের ছাত্র বলে বিষয়টিকে ছোটদের সুন্দর প্রচেষ্টা হিসাবে নেওয়া হয়নি। বরং সেগুলিকেই মহাকাশে পাঠানো হয়। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রদের তৈরি ৯টি কৃত্রিম উপগ্রহ একসঙ্গে গেল মহাকাশে।

স্কুল ছাত্রদের অনেকসময় প্রোজেক্ট দেওয়া হয়। অনেক সময় তারা বিভিন্ন প্রতিভা অন্বেষণ কর্মশালায় নিজেদের তৈরি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন তুলে ধরে। বাহবাও পায়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্কুল ছাত্রদের সুন্দর প্রচেষ্টা, দারুণ কাজ এসব বলে পিঠ চাপড়ানো হলেও সেগুলিকে বাস্তবে প্রয়োগ করা নিয়ে নির্লিপ্তই থাকা হয়।
ইজরায়েল কিন্তু সেভাবে তার দেশের স্কুল ছাত্রদের কাজকে নিল না। বরং সে দেশের জন্য ইতিহাস গড়ল স্কুল ছাত্ররা। ইজরায়েলের ৯টি পুর এলাকায় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্ররা আলাদা আলাদাভাবে ৯টি কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করেছে।
সেগুলি মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ হিসাবে কাজ করতে সক্ষম। সেগুলি বিশেষ বিশেষ কাজও সামাল দেবে। ছাত্রদের এই কাজকেই মান্যতা দিল সে দেশের সরকার। স্কুল ছাত্রদের তৈরি ৯টি কৃত্রিম উপগ্রহকে একসঙ্গে মহাকাশে প্রেরণ করল তারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স সংস্থার ফ্যালকন ৯ রকেট এই ৯টি উপগ্রহ নিয়ে পাড়ি দেয় মহাকাশে। এই পুরো প্রকল্পটি হয়েছে ইজরায়েল স্পেস এজেন্সি এবং তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে।
খরচ হয়েছে ২.৮৮ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ২৫ কোটি টাকার কিছু বেশি। স্কুল ছাত্রদের প্রকল্প যদি দেশের কাজে লাগে তাকেও যে সম্মান জানানো যায় তার একটা পথ দেখিয়ে দিল ইজরায়েল।
স্কুল ছাত্রদের বয়স নয়, তাদের মেধাকে সম্মান জানাল তারা। অন্যদিক এই প্রথম ইজরায়েল একসঙ্গে ৯টি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠাল। যা সে দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানে একটা রেকর্ডও বটে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা