মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল হ্যাংওভার কাটানোর প্রাচীন আংটি
মদ্যপানের ফলে অনেকের হ্যাংওভার হয়। এখনও হয়, প্রাচীনকালেও হত। সেই হ্যাংওভার কাটাতে ধনীরা ব্যবহার করতেন একটি বিশেষ আংটি। তারই খোঁজ মিলল।
মাটি খুঁড়ে একটি অতিপ্রাচীন মদ তৈরির কারখানার খোঁজ পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা। যাকে ধরা হয় সে সময়ের সবচেয়ে বড় মদ প্রস্তুতকারী কারখানা।
বাইজেন্টাইন যুগের সেই মাটির তলায় হারিয়ে যাওয়া কারখানার খোঁজ পেয়ে এমনিতেই এক বিরল আবিষ্কারের আনন্দে উচ্ছ্বসিত ছিলেন গবেষকেরা। তারমধ্যে তাঁরা আরও এক দুরন্ত জিনিস খুঁজে পেয়ে কার্যতই আত্মহারা। এমন আবিষ্কার যে এই কারখানার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে লুকিয়ে থাকবে তা তাঁরা ভাবতেও পারেননি।
প্রাচীন রোমান যুগে এক ধরনের আংটি ব্যবহারের প্রচলন ছিল। সাধারণত সমাজের অতিধনী ও ক্ষমতাবান মানুষজনই এই আংটি পরতেন। যা তৈরি হত সোনা দিয়ে। আর তার ওপর বসানো থাকত একটি নীলা।
এই আংটি সে সময় ধনীরা অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে হওয়া হ্যাংওভার কাটাতে ব্যবহার করতেন। তাছাড়া এটা আঙুলে থাকলে সম্ভ্রান্ত সমাজের মানুষ বলে তিনি গণ্য হতেন।
তেমন একটি আংটি ইজরায়েলের ইয়াভনে এলাকায় খননকার্য চলাকালীন পাওয়া গেল একটি মদ তৈরির কারখানার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে।
এই নীলা তখনকার দিনে বিশাল দামি পাথর হিসাবে গণ্য না হলেও তার কদর ছিল অন্য। সেই সময় এই সোনার আংটিতে নীলা বসিয়ে তা ধনীরা পরিধান করতেন মদের নেশা কাটাতে। সেই আংটি এবার মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল ইয়াভনে।
এদিকে যে মদ তৈরির কারখানাটি আবিষ্কার হয়েছে মাটির তলা থেকে তা আনুমানিক সপ্তম শতাব্দীর বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে সাদা একধরনের মদ তৈরি হত, যাকে স্থানীয়ভাবে বলা হত গাজা। প্রতি বছর ৫ লক্ষ গ্যালন মদ এখানে তৈরি করা হত।