World

মায়েদের ওপর বিরূপ প্রভাবে গর্ভেই কমে যাচ্ছে শিশুর ওজন

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর কবিতায় উদাত্ত সঙ্কল্প ঘোষণা করেছিলেন, এই পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে তুলবেন তিনি।‌ সে আশা ফলবতী হয়নি স্বদেশে এবং বিদেশেও।

মায়েরা বায়ুদূষণের শিকার হলে তার কুপ্রভাব পড়ছে নবজাতক সন্তানের ওপর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এক্ষেত্রে নবজাতকের ওজন স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে অনেকটাই কম হচ্ছে।

এ ব্যাপারে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চে। গবেষণায় খতিয়ে দেখা হয়েছে সদ্য মা হয়েছেন যাঁরা তাঁদের আর্থসামাজিক পরিস্থিতিও।


জার্নাল অফ এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চে যে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, বায়ুদূষণের শিকার হয়ে যে মায়েরা স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন তাঁরা দরিদ্র পরিবারের মহিলা। অনেকক্ষেত্রেই তাঁরা জন্ম দিচ্ছেন অস্বাভাবিক কম ওজনের প্রথম সন্তানের।

গবেষণাটি চালানো হয়েছে ইজরায়েলে। ইজরায়েলের বহু এলাকাতেই বায়ুদূষণ ঘটে চলেছে ব্যাপক হারে। এর ফল ভুগছেন দরিদ্র পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা। গবেষকরা এও খতিয়ে দেখেছেন যাঁরা স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন তাঁরা কোন এলাকাগুলির বাসিন্দা।


এই পরিস্থিতিতে স্বভাবতই সমালোচনার শিকার ইজরায়েলর সরকার। কারণ বায়ুদূষণ কীভাবে কমানো যাবে সেই জরুরি বিষয়টি দেখাশোনা করা সরকারের দায়িত্ব।

গবেষণাটি চালানো হয়েছে হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়-হাদাশাহ ব্রাউন স্কুল অফ পাবলিক হেলথের তরফে। বাংলার কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর কবিতায় উদাত্ত সঙ্কল্প ঘোষণা করেছিলেন, এই পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে তুলবেন তিনি। সে আশা ফলবতী হয়নি স্বদেশে এবং বিদেশেও।

হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক এইচ লেভিনের বক্তব্য, যে সমস্ত শিশু স্বাভাবিক ওজনের থেকে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে, ভবিষ্যতে নানা ধরনের অসুস্থতার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা তাদের ক্ষেত্রে বেশি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button