কিছুদিন আগে ইতালির এক যুবতী অদ্ভুত এক রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ৩ বছর ধরে তাঁর ঘামের সাথে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। হাতের তালু ও মুখমণ্ডল থেকে এই ক্ষরণের সময়সীমা ২ থেকে ৫ মিনিট। এরপর নিজে থেকেই রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কখনও ঘুমিয়ে থাকলে কিংবা কায়িক পরিশ্রমের ফলেও এমনটা ঘটছে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে তাঁর দেহে কোনও ক্ষত নেই। এই রক্ত বার হচ্ছে তাঁর ঘর্মগ্রন্থি দিয়ে।
একুশ বছর বয়সী ওই তরুণী জানিয়েছেন, যখন মানসিক চাপ বাড়ে তখন এই রক্তঘামও বেড়ে যায়। যা চিকিৎসকদের হতবাক করে দিয়েছে। ফ্লোরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞের দাবি, এটি ‘হেমাটোহাইড্রসিস সিন্ড্রোম’ নামের এক বিরল চর্মরোগ। যেখানে ঘর্মগ্রন্থি দিয়ে রক্ত নিঃসরণ হয়। এভাবে ঘামের সঙ্গে রক্তক্ষরণের জেরে ওই তরুণী এখন মানসিক অবসাদে ভুগছেন। রাস্তায় চলাফেরা করা দায়। ঘাম হলে লোকজন অবাক চোখে তাঁর দিকে চাইছেন। ফলে নিজেকে লুকিয়ে রাখতেই পছন্দ করছেন তিনি।
আপাতত হার্ট ও রক্তচাপের ওষুধ ‘প্রোপ্রানোলোল’ দিয়ে তাঁর এই রক্তঘাম কমিয়ে রাখছেন চিকিৎসকেরা। সেইসঙ্গে চলছে ওই তরুণীকে মানসিক অবসাদ ও আতঙ্ক থেকে মুক্ত করার চেষ্টা। মনরোগ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে তাঁর চিকিৎসা চলছে। যাতে সহজভাবে রাস্তায় বার হওয়া বা মানুষের সঙ্গে সহজভাবে মেলামেশার মানসিকতা তাঁর মধ্যে আবার ফিরে আসে।