চাকরি জীবনে ২৪ বছরের মধ্যে ২০ বছর কামাই, শিক্ষিকা পেলেন নতুন তকমা
তাঁর চাকরি জীবন ২৪ বছরের। তারমধ্যে ২০ বছরই তিনি কামাই করেছেন। শিক্ষিকা হয়েও স্কুলে পড়াতে আসেননি নানা অজুহাতে।
২০ দিন নয়, ২০ মাস নয়, ২০ বছর কামাই করেছেন তিনি। অবশ্যই একটানা নয়। কিন্তু কামাই করেছেন। ২৪ বছরের মধ্যে ৪ বছর মাত্র ক্লাস নিয়েছেন। একের পর এক চিঠি দিয়েছেন। কখনও শরীর খারাপ, কখনও বাড়ির কোনও কারণ, কখনও পরিবারের কেউ অসুস্থ, কখনও শহরের বাইরে থাকা এবং এমন নানা অজুহাতে তিনি কামাইটা চালিয়ে গেছেন।
স্কুলে পড়ানোর চাকরিটা তিনি পেয়েছিলেন ২৪ বছর আগে। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই তাঁর কামাই শুরু হয়ে যায়। যদিও বা কদিচ কখনও পড়াতে স্কুলে আসতেন সেটাও ছিল এক বিভীষিকা।
ছাত্রদের অভিযোগ ওই শিক্ষিকা পড়াতেই পারতেন না। তিনি ভুল তথ্যও দিতেন। পড়ানোর মাঝে ভুলে যেতেন কি পড়াচ্ছেন। তারমধ্যে আবার ক্লাসের মাঝেই তাঁর ফোন আসত। সেই ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন তিনি। পরীক্ষা নিলে খাতা দেখতেন নিজের মত করে। যাকে যেমন খুশি নম্বর দিতেন। পুরোটাই তাঁর খেয়ালখুশি।
এই নিয়ে ছাত্ররাও অভিযোগ জানায়। অন্য শিক্ষকরাও সেই অভিযোগ মেনে নেন। এমনভাবে চলার পর ২০১৮ সালে তাঁকে বরখাস্ত করা হয় চাকরি থেকে।
ওই শিক্ষিকা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলার হাত ধরে তখনকার মত স্থগিত করা হয় তাঁর বরখাস্ত। অবশেষে তাঁর ২৪ বছরের মধ্যে ২০ বছরই কামাই করার কথা জানার পর বিচারকই ওই শিক্ষিকাকে ভর্ৎসনা করেন। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্তে সবুজ সংকেত দেন।
সিনজিনা পাওলিনা নামে ওই শিক্ষিকাকে ইতালির সবচেয়ে খারাপ কর্মী তকমাও দেওয়া হয়েছে। ভেনিস শহরের কাছে একটি স্কুলে পড়াতেন তিনি।
২৪ বছরের চাকরি জীবনে ২০ বছরই কামাই করার পর তাঁর চাকরি গেছে। এভাবে কর্তব্যে গাফিলতি করার কথা যাঁরাই ভাবেন তাঁদের জন্য এই শিক্ষিকার চাকরি যাওয়া একটা বড় উদাহরণ হয়ে রইল।