বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রেস্তোরাঁর নামেই চমক, খরচ ৪৫ হাজার টাকার বেশি
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট্ট রেস্তোরাঁটি কিন্তু রূপে, গুণে অসামান্য। তেমন তার খরচ। তেমনই আবার তার কঠোর নিয়মকানুন। তবে পাওনাও নেহাত কম নয়।
এটিই হল বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রেস্তোরাঁ। যে রেস্তোরাঁর নামই বলে দেয় সেখানে কতজন অতিথির খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আসলে ইটালির রিয়েতি অঞ্চলের এই রেস্তোরাঁর নাম সোলো পার দিউ। যার বাংলা মানে হল ২ জনের জন্য।
এই রেস্তোরাঁয় মাত্র ২ জন অতিথির খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কেবল টেবিলে বসে খাওয়াটাই যে সব নয় সেটাই জানান দেয় এই অভিনব এবং অপরূপ রেস্তোরাঁ।
বিংশ শতকের শিল্পশৈলীতে তৈরি এই রেস্তোরাঁ একটি ইতালীয় ভিলার মত দেখতে। সামনে বিশাল বাগান। সেখানে নানা রংয়ের ফুলগাছ ভরে আছে। একটা দিকে রয়েছে জলের সাজ।
বসার জায়গাটাও একটি ঘরের মত করে সাজানো। একদম পুরনো ইতালীয় সাজসজ্জার আদলে। বইপত্র, চেয়ার টেবিল, ঘর সাজানোর জিনিস, জানালা, পর্দা, ঘর গরম রাখার বন্দোবস্ত, সব মিলিয়ে এটি কোনও তথাকথিত রেস্তোরাঁর বুক করা টেবিল নয়।
ঘরটি ঠিক যেন একান্তে সময় কাটানোর জন্য একটি সুন্দর বন্দোবস্ত। যেখানে কেউ কোথাও নেই। কেউ এসে বিরক্ত করবেনা। এমনকি রেস্তোরাঁর ওয়েটারকে না ডাকলে তিনি আসেন না।
এ রেস্তোরাঁর কোনও মেনু কার্ড নেই। আগাম বুকিং করতে হয় এই রেস্তোরাঁ। সেই সময় কি খাবেন সেটা বলে দিতে হয়। পছন্দের সেইসব পদই ব্যবস্থা করে রাখা হয়।
তবে মাত্র ২ জনের বসার সুবিধাযুক্ত এই রেস্তোরাঁর চাহিদা সারাবছরই তুঙ্গে থাকে। তাই আগাম বুকিং জরুরি। খরচও বিপুল। যদিও বুকিংয়ের চাহিদা স্পষ্ট করে এমন এক একান্তে সময় কাটানোর অন্য ভাবনার রেস্তোরাঁটিতে সময় কাটাতে এই বিপুল টাকা খরচ করতে রাজি বহু মানুষ।
২ জনের জন্য এখানে খরচ পড়ে ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। ওয়াইন বা অন্য কোনও দামি সুরার দাম অতিরিক্ত দিতে হয়।