২ হাজার বছর আগেও পিৎজা খাওয়ার চল ছিল, মাটির তলায় মিলল প্রমাণ
পিৎজাকে যথেষ্ট আধুনিক খাবার বলেই জানেন সকলে। কিন্তু ২ হাজার বছর আগেও মানুষ পিৎজা খেতেন। যার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।
নতুন প্রজন্মের কাছে পিৎজা এক অন্যতম আকর্ষণ। তার আগের প্রজন্মের মানুষরাই বলে থাকেন ওসব পিৎজা তাঁদের সময়ে কেউ চিনতেনই না। এসব আজকালকার খাবার। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এমন এক প্রশ্ন তুলে দিল মাটির তলায় ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু নিদর্শন। যাকে অত্যন্ত বিরল এক আবিষ্কার হিসাবেই নিচ্ছেন বিজ্ঞানী, গবেষকেরা।
ইতালির পম্পেই শহরের ধ্বংসস্তূপের নিচেই খনন কাজ চলছিল। সেই সময় এক দেওয়ালচিত্র দেখতে পান গবেষকেরা। যা দেখে কার্যত হতবাক হয়ে যান তাঁরা।
অত্যন্ত রঙিন সেই ছবিতে দেখা যায় একটি গোল মত রুটির ওপর অনেক রকমের ফল ছড়ানো রয়েছে। অনেকটা টপিংয়ের মত। পিৎজায় যেমন থাকে ঠিক তেমন। ফলের মধ্যে আনারস রয়েছে। এছাড়াও কিছু ফল রয়েছে। ছবিটা পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেটি ২ হাজার বছর পুরনো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২ হাজার বছর আগেও যে পিৎজা খাওয়ার চল ছিল তা এই ছবি থেকে পরিস্কার। যদিও সে পিৎজা বর্তমান যুগের পিৎজার মত নয়।
কয়েকজন অবশ্য দাবি করছেন পিৎজার মূল উপাদানই হল মোজারেলা চিজ ও টমেটো। সে ২টিই এই ছবিতে নেই। তাই এটা পিৎজা নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগই মেনে নিচ্ছেন এটা পিৎজারই পূর্বসূরি। যা থেকে ক্রমে পিৎজা তার আধুনিক রূপ নিয়েছে।
প্রাচীন পম্পেই শহরে খনন চালিয়ে পাওয়া এই পাথরের গায়ে দেওয়াল চিত্র নিয়ে বিশ্বজুড়েই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিতও হয়েছে।