চাঁদে গেলে থাকার জায়গার ব্যবস্থা চাঁদই করে রেখেছে, অসামান্য আবিষ্কার
চাঁদে মানুষ গিয়ে থাকতে চাইলে সেখানে বিশেষভাবে মানুষের থাকার জায়গা প্রথমেই না বানালেও চলবে। চাঁদের মাটিই সেই ব্যবস্থা করে রেখেছে।
চাঁদে মানুষের শুধু যাওয়া নয়, সেখানে দীর্ঘ সময় থাকা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে চাঁদের বায়ুমণ্ডল তো পৃথিবীর মত নয়। সেখানে মানুষের স্বাভাবিক বসবাসের জন্য বিশেষ বন্দোবস্তের প্রয়োজন রয়েছে।
কিন্তু চাঁদে যে মানুষ গেলে থাকার ব্যবস্থা চাঁদই করে রেখেছে তা এতদিন জানা ছিলনা। এবার সেই থাকার জায়গার দেখা পেলেন বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবীতে আদি মানব বসবাসের জন্য গুহাকে বেছে নিয়েছিল। চাঁদেও রয়েছে তেমনই গুহা। তবে এ গুহা পাহাড়ের উপরে কোনও খাঁজে নয়, রয়েছে চাঁদের মাটির কিছুটা তলায়।
প্রায় ১০০ মিটার মাটির তলায় বিস্তৃত গুহা রয়েছে। যেখানে অনায়াসে মানুষ তার বসবাসের জায়গা করে নিতে পারে। তবে চাঁদের উপরিভাগে আসা বা গুহায় পৌঁছনোর জন্য লিফট জাতীয় কিছুতে বা দড়ি বেয়ে ওঠানামার দরকার আছে। নাহলে সেখানে পৌঁছনো সম্ভব নয়।
মহাকাশ বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকা বিশ্বের অনেকগুলি দেশই এখন চাইছে চাঁদে স্থায়ী বসবাসের বন্দোবস্ত পাকা করতে। সেখানে চাঁদেই এমন গুহার খোঁজ পাওয়া অবশ্যই বিজ্ঞানীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
ইতালির ট্রেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ গবেষক চাঁদের ‘মারে ট্র্যাঙ্কুইলিটাটিস’ নামে জায়গায় এই মাটির তলার গুহার খোঁজ পান। এই প্রথম চাঁদে কোনও গুহার খোঁজ মিলল।
চাঁদেও যে গুহা রয়েছে তা এই প্রথম জানতে পারল মানুষ। বিজ্ঞানীদের ধারনা একটা নয়, এমন শতাধিক গুহা চাঁদের মাটিতে ছড়িয়ে আছে।
যে গুহাটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তা তৈরি হয়েছিল বহু কোটি বছর আগে। তখন যখন চাঁদে অগ্নুৎপাত হত। সে সময় গলিত লাভাস্রোতই জমাট বেঁধে এই চাঁদের গুহা তৈরি করেছিল। গুহাটিতে যে গর্ত ধরে নেমে পৌঁছতে হবে, সেই গর্তটি সোজা নেমে গেছে। ফলে গুহা পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছে যায়।