সুপারহিট দক্ষিণী ছবি ‘রোবট’-এর কথা মনে পড়ে? ছবিতে মারপিট হোক বা নাচ-গান, সবেতে একাই একশো ছিলেন ‘রোবট’ রজনীকান্ত। ভারতের কাছে না হয় সুপারহিরো রজনীকান্ত আছেন। ইতালির কাছে তো আর এমন নৃত্যকলায় পারদর্শী ‘রোবট’ বা রজনীকান্ত নেই! তাবলে কি আর হাতপা গুটিয়ে বসে আছেন সেদেশের প্রযুক্তিবিদরা। মোটেই না। বরং মঞ্চে আগুন ঝরাতে ইতালির আছে সহস্র ‘ডান্সিং সুপারস্টার’। সেই খুদে তারকাদের পরীক্ষায় ফুল মার্কস পেয়ে পাশ করাতে ২ বছর ধরে তালিম দিয়ে গেছে ‘ইউবিটেক’। রোবট প্রস্তুতকারক এই চিনে সংস্থার আধিকারিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রাতদিন এক করে বানিয়েছেন ১৩৭২টি রোবট।
‘আলফা ১এস’ নামে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রোবটগুলির প্রতিটি লম্বায় ৪০ সেন্টিমিটার। অ্যালুমিনিয়াম সংকরের ওপর প্লাস্টিকের আস্তরণ দিয়ে তৈরি হাজার হাজার শ্বেতশুভ্র রোবটসেনা নৃত্যশৈলীতে তুখোড়। তাদের সামনে যে গানই চালানো যাক, নানা ভঙ্গিতে নেচে-কুঁদে তাক লাগিয়ে দিতে তারা ওস্তাদ। প্রযুক্তিবিদদের সেই দাবি যে কতটা সত্যি তা সম্প্রতি চাক্ষুষ করেন গিনেস বুকের অধিকর্তারা। গানের তালে তালে যন্ত্র নটরাজ বাহিনীর নিখুঁত নাচ দেখে বেজায় সন্তুষ্ট গিনেস বুকের বিচারকরা। রোবট নৃত্যশিল্পীদের নয়া বিশ্বরেকর্ডের দাবিদার ঘোষণা করতে একটুও সময় নেননি তাঁরা।