সাধ করে বাবা-মা মেয়ের নাম রেখেছিলেন ‘ব্লু’। আক্ষরিক অর্থে ‘ব্লু’ একটি রঙের নাম। সৌন্দর্য ও ঔজ্জ্বল্যের প্রতীক এই রঙ। তাইতো ফুটফুটে মেয়ের জন্য ‘ব্লু’ নামটি বেছে নিয়েছিলেন ইতালির মিলান শহরের এক দম্পতি। কিন্তু ‘ব্লু’ নাম মোটেই মেয়ে সুলভ নয়। এই যুক্তিতে অবিলম্বে ‘ব্লু’-এর পিতা-মাতাকে মেয়ের নাম পাল্টানোর নির্দেশ দেয় মিলান আদালত। সেই নির্দেশের অন্যথা হলে তাঁরাই শিশুকন্যার নাম ঠিক করে দেবেন বলেও সাফ জানিয়ে দেন বিচারকরা।
এতেই এখন রাগে ফুঁসছেন ভিত্তোরিয়া ও লুকা। সম্প্রতি এই দম্পতি কন্যাসন্তানের বাবা-মা হন। অনেক ভেবে তাঁরা মেয়ের নাম রাখেন ব্লু আইভি কার্টার। ১৮ মাস বয়সে পা পড়েছে খুদে ব্লুয়ের। এইটুকু বয়সেই খবরের শিরোনামে এসে গিয়েছে সে। কারণ, তার নাম নিয়ে বেঁধেছে বিরাট আইনি গোল। মেয়ের নাম ইতিমধ্যে নথিভুক্ত হয়ে গেছে সব সরকারি কাগজপত্রে। এখন নাম পরিবর্তন করার ঝক্কি অনেক। তাছাড়া, তাঁদের মত অনেক মা-বাবাই তাঁদের কন্যা সন্তানের নাম রেখেছেন ব্লু। আমেরিকান পপ গায়িকা বিয়ন্সের মেয়ের নামও তো ব্লু! কই বাকিদের বেলায় তো আদালত এমন নাম পাল্টানোর নিদান দেয়নি? তাহলে তাঁদের মেয়ের নাম নিয়ে কেন এত প্রশ্ন উঠছে? স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, এই সমস্ত অভিযোগ দেশের সংবাদ মাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছেন ব্লু-এর বিদ্রোহী অভিভাবক। মেয়ের সুন্দর নাম কিছুতেই পাল্টাতে রাজি নন তাঁরা। এদিকে সম্প্রতি আদালত শমন পাঠিয়েছে। আর ১ সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। এদিকে লিঙ্গ বৈষম্যের ভ্রূকুটির জন্য মেয়ের নাম পাল্টাতে রাজি নন মিলানের ওই দম্পতি। দরকার পড়লে আইন আদালতের বিরুদ্ধে গিয়ে লড়তে রাজি তাঁরা। নিজেদের সিদ্ধান্ত একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন ‘ব্লু’-এর মা-বাবা। খুদে মেয়ের নামের অধিকার রক্ষার সেই লড়াইয়ে একা নন তাঁরা। অদম্যজেদী দম্পতিকে উৎসাহ যোগাচ্ছেন আরও অনেক ‘ব্লু’ নামের শিশুকন্যার অভিভাবকরাও।