গবেষক তরুণীকে আলাদা ডেকে অন্যায় স্পর্শ, অধ্যাপকের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা বন্ধ
এক গবেষক তরুণীর দেহে অন্যায় স্পর্শের অভিযোগে এক অধ্যাপকর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধ করল কর্তৃপক্ষ। ওই তরুণীর অভিযোগের পর তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্য এক ছাত্রীও।
গবেষণার কাজে যুক্ত এক তরুণীর সুপারভাইজার হিসাবে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে সুর চড়ান ওই তরুণী।
তাঁর দাবি, ইচ্ছে করে এইচএন টোপ্পো নামে ওই অধ্যাপক তাঁর গবেষণা পত্র পেশ করতে দিচ্ছিলেন না। এর মধ্যে ওই তরুণীকে তিনি তাঁর একটি খালি বাড়িতে ডাকেন।
সেখানে গেলে ওই তরুণীর অভিযোগ, তাঁর শরীরের নানা জায়গায় হাত দিতে শুরু করেন ওই অধ্যাপক। জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা শুরু করেন।
এরপর সেখান থেকে কোনওক্রমে তরুণী বেরিয়ে আসেন। বেরিয়ে আসার পর নিজের অভিজ্ঞতা সোশ্যাল সাইটে প্রকাশ করেন তিনি।
ওই তরুণীর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর আরও এক এমফিল ছাত্রী মুখ খুলেছেন। তাঁরও অভিযোগ ওই অধ্যাপক তাঁর সঙ্গেও একই আচরণ করেছিলেন।
এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে অভিযুক্ত অধ্যাপক আর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেননা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার কোনও বিষয়ের সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকতে পারবেননা।
ততদিন পারবেননা যতদিন না তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন। ফলে ওই অধ্যাপকের এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ বন্ধ। এক তরুণী অভিযোগের পর তাঁর সমর্থনে আরও এক ছাত্রীর দাঁড়ানোয় বিষয়টি আরও জটিল আকার নিয়েছে।
এদিকে ওই তরুণী যাতে তাঁর গবেষণাপত্র সহজে পেশ করতে পারেন এবং তাঁর গবেষণা সুস্থভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন সেজন্য অন্য এক সুপারভাইজারকে নিয়োগ করা হবে।