রাজ্যের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চরম অরাজকতার ছবি উঠে এল। একদিকে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের হাতে হেনস্থা, নিগ্রহের শিকার হলেন। তাঁকে উদ্ধার করতে ছুটে আসতে হয় রাজ্যপালকে। অন্যদিকে এবিভিপি সন্ধে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের সামনে পাল্টা তাণ্ডব শুরু করে। ছিলেন দুর্গা বাহিনীর সদস্যরাও। প্রথমে তাঁরা ৪ নম্বর গেটের সামনের রাস্তায় আন্দোলনে সামিল হন। তারপর তাঁরা ঢুকে পড়েন ক্যাম্পাসে।
৪ নম্বর গেটের মুখেই ইউনিয়ন রুম। সেই ইউনিয়ন রুমে ভাঙচুর শুরু করেন এবিভিপি সদস্যরা। একের পর এক টেনে বার করে আনা হয় কম্পিউটার থেকে সাইকেল, ক্যারাম বোর্ড, চেয়ার, টেবিল। ভেঙে তছনছ করা হয়। ইউনিয়নের বড় বড় ফেস্টুন বাইরে বার করে এনে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে সেসব ফেস্টুন।
৪ নম্বর গেট ফাঁকা করে বাবুল সুপ্রিয় ও রাজ্যপালের জন্য পথ প্রশস্ত করতেই নাকি এমন তাণ্ডব বলে দাবি করেন এখানে উপস্থিত তাণ্ডবকারীরা। তাঁরা ইউনিয়ন রুমে যেভাবে ভাঙচুর চালান তাতে রুমের কিছু অবশিষ্ট ছিলনা। ছাত্র সংসদের দায়িত্বে থাকা এসএফআইয়ের সেই ইউনিয়ন অফিস তছনছ করে দেওয়ালে এবিভিপি লিখে দেওয়া হয়। পরে তাঁদের বার করে পুলিশ ঘিরে নেয় গেটের মুখ। এবিভিপি কর্মীরা এরপর রাস্তায় ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।