তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবু নিজের ইচ্ছাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এদিনে কোর্ট বৈঠকে হাজির থাকতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ছাত্রছাত্রীরা অবশ্য আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন যে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে দেবেন না। তাঁদের দাবি, রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক পদের অমর্যাদা করে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কাজ করছেন। যা তাঁরা মানছেন না। এদিন যাদবপুরে রাজ্যপালের গাড়ি প্রবেশ করে ২ নম্বর গেট দিয়ে। তারপর অরবিন্দ ভবনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করলেই গাড়ি ঘিরে নেন ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের সঙ্গে এদিন বিক্ষোভে সামিল হন অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীরাও।
গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। ফলে অরবিন্দ ভবনে চলা কোর্ট বৈঠকে যাওয়ার জন্য গাড়ির একতিল জায়গাও ছিলনা। ছাত্রছাত্রীরা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখাতে থাকেন। গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। সেইসঙ্গে সিএএ ও এনআরসি-র প্রতিবাদে বিশাল একটি ব্যানারও গাড়ির সামনে ধরে রাখেন তাঁরা। রাজ্যপাল গাড়ির মধ্যে ঠায় বসে থাকেন। গাড়ির বাইরে তাঁর নিরাপত্তায় হাজির ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।
রাজ্যপাল গাড়িতে বসেই বেশ কয়েকবার হাতজোড় করে তাঁর গাড়িকে এগোতে দেওয়ার অনুরোধ করেন। বাইরে বেরিয়ে আসেন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, এসে তাঁর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু গাড়ি পর্যন্ত এগোতে পারছিলেননা। পরে অবশ্য রাজ্যপাল গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে অরবিন্দ ভবনের ভিতরে নিয়ে যান নিরাপত্তা কর্মীরা। ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে ভিতরে যেতে দেন একটা শর্তে। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যপালকে কথা বলতে হবে। তাঁদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।