বাঙালির প্রিয় পুরীতে চোখ জুড়োনো নতুন উদ্যোগ
বাঙালির জীবনের সঙ্গে পুরী নামটা জড়িয়ে আছে। সেই পুরীতেই এবার রঙিন এক চোখ জুড়োনো উদ্যোগ শুরু হল। মন্দিরের ১৩ একর জমিতে শুরু হচ্ছে এই উদ্যোগ।
বঙ্গবাসীর জীবনে পুরী নামটার মাহাত্ম্যই আলাদা। প্রথমত পুরী যাওয়া মানে জগন্নাথ দর্শনের আনন্দ লাভ। দ্বিতীয়ত পুরীর সমুদ্রের ধারে অলস ছুটি কাটানো। এই দুয়ের টানে বাঙালি একবার নয়, বারবার ছুটে যায় পুরীতে। একটু ছুটি পেলেই অনেক বাঙালি বেরিয়ে পড়েন এক রাতের ট্রেন সফরে পৌঁছনো পুরীতে।
সেই পুরীর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল জগন্নাথ দর্শন। ভারতের নানা প্রান্তের মন্দিরের মতই পুরীর মন্দিরেও ভক্তরা হাজির হয়ে পুজো দিতে চান। আর পুজো মানেই তো ফুল। মন্দির ফুল ছাড়া ভাবাই যায়না।
পুরীর মন্দিরের নিজস্ব ১৩ একর জমিতে আগেই মন্দিরের প্রয়োজন মেটানোর মত ফুল উৎপাদন শুরু হয়েছিল। কিন্তু তাতে চাহিদা পূরণ সম্ভব হয়নি। এবার তাই সেই জমিতেই ফুল ফোটানোর দায়িত্ব নিল লখনউয়ের ন্যাশনাল বোটানিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট।
এনবিআরআই এবার এই জমিতেই প্রচুর পরিমাণে পুজোয় লাগে এমন ফুল উৎপাদন শুরু করছে। তাদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শে ১৩ একর জমিতেই প্রচুর মারজোরাম, দাভানা জাতীয় উদ্ভিদের ফলন হবে।
রং ও গন্ধে ভরপুর ফুল যেমন, গন্ধরাজ, গাঁদা, জুঁই এবং এমন ফুলগুলির ফলন বাড়ানো হবে। তৈরি করা হবে ১০৮টি পাপড়ি যুক্ত বিশেষ নমোহ পদ্ম। যা পুজোয় ব্যবহৃত হয়।
এই উদ্যোগ সফল হলে মন্দিরের ফুলের প্রয়োজন এই জমির ফুল দিয়েই সম্পূর্ণ হবে। বাইরে থেকে আর ফুল বা পাতার দরকার পড়বে না। পুরীর মন্দিরের বাগানের দায়িত্বে থাকা মালিদেরও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে এনবিআরআই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা