State

হলকর্ষণ উৎসবে রাজ্যপাল, জমিতে ছড়িয়ে দিলেন মাটি, জল

হলকর্ষণ উৎসবে শামিল সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বৃষ্টি ভেজা দিনে জমিতে ছড়িয়ে দিলেন মাটি, জল।

কলকাতা : ১৯২৮ সালে বিশ্বভারতীতে হলকর্ষণ উৎসবের সূচনা করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারপর থেকে চলে আসছে এই বর্ষাকালীন উৎসব। বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসব বা পৌষ মেলার মত অতটা জনপ্রিয় না হলেও হলকর্ষণ উৎসব দেখতেও প্রতি বছর শান্তিনিকেতনে ভিড় জমান মানুষজন। এবার করোনা পরিস্থিতিতে তা অমিল। উৎসাহী মানুষের দেখা নেই। তবে উৎসব হয়েছে তার নিয়ম মেনেই। মুখ্য আকর্ষণ ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন সেখানে। মাঠে লাঙল চষে যেমনভাবে প্রতিবার হলকর্ষণ উৎসবের সূচনা হয় এবারও তার অন্যথা হয়নি।

বুধবার বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে শ্রীনিকেতনে নামেন রাজ্যপাল। বৃষ্টি ভেজা দিনে মেঘলা আকাশেই এদিন মাঠে গরুতে টানা লাঙল চষা হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল। নিজে জমিতে হাঁটেন লাঙল চষার সঙ্গে। তারপর জমিতে ছড়িয়ে দেন মাটি ও জল। তাঁর পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই অনুষ্ঠানে অবশ্য এদিন আর খুব কম সংখ্যক মানুষই উপস্থিত ছিলেন। তবে নিয়ম রক্ষা হয়েছে। হলকর্ষণ উৎসবে ছেদ পড়েনি। সঙ্গে ছিল রবীন্দ্রনাথের গান।


হলকর্ষণ ছাড়াও রাজ্যপাল এদিন বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র ভবনে যান। সেখানে একটি স্থায়ী প্রদর্শনীর উদ্বোধনও করেন। তারপর যান বাংলাদেশ ভবনে। এখানে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এদিনও রাজ্যসরকারের সমালোচনায় সরব ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার যে কৃষি বীমা শুরু করেছে তা থেকে এই রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত করছে রাজ্যসরকার। তাদের ভুল নীতি এর বড় কারণ। এর আগেও তিনি এই প্রসঙ্গে রাজ্যসরকারকে বিঁধেছিলেন। এদিন ফের কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বীমার প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যসরকারের কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যসরকারের আরও সমালোচনা করে রাজ্যপাল এদিন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। রাজ্যের পুলিশ রাজনৈতিক কর্মীদের মত আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যপালের তোপের মুখে এর আগেও রাজ্যের পুলিশ পড়েছে।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button