রাজ্যপালের চেনা পরিচিত গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে তিনি যে একটু বৃহত্তর কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়াতে চাইছেন তা আস্তে আস্তে পরিস্কার করে দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আর তা যে তিনি সংবিধানের মধ্যে থেকেই করছেন তাও পরিস্কার করে দিয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছেন তিনি একজন কপিবুক রাজ্যপাল। যিনি সংবিধানের মধ্যে থেকে কাজ করতে চান। সংবিধান প্রদত্ত তাঁর ক্ষমতাও তিনি একদম ধারা ধরে ধরে বুঝিয়ে দেন।
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে তিনি একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। কিন্তু সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না মন্ত্রী গৌতম দেব, পুলিশের কোনও কর্তা। তৃণমূলের কেউই সেই বৈঠকে উপস্থিত হননি। বিরোধীরা অবশ্য উপস্থিত ছিলেন। যদিও এই বৈঠকে এঁদের উপস্থিত না হওয়া নিয়ে তিনি এতটুকুও উষ্মা প্রকাশ করেননি। তিনি জানিয়েছেন হয়তো এদিন কোনও সমস্যা ছিল, তাই মন্ত্রী, জেলাশাসক বা পুলিশ কর্তারা আসতে পারেননি। হতেই পারে। তাঁর আশা পরের বৈঠকে তাঁরা নিশ্চয়ই আসবেন।
এদিন শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যপাল। বুঝিয়ে দেন তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যথেষ্ট সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চান। তাঁকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি যে শিলিগুড়ি প্রেস ক্লাবে আসবেন সেকথাও জানিয়ে যান রাজ্যপাল। তবে এদিন এনআরসি নিয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।
যাদবপুর কাণ্ডে বুঝিয়ে দেন তিনি মনে করেছেন যে তাঁর ওদিন যাওয়া উচিত ছিল। যেখানে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই সেখানে তাঁর যাওয়া কর্তব্য বলে মনে করেছেন তিনি। ওদিন তাঁর সঙ্গে যে মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কথা হয় তাও স্বীকার করেছেন রাজ্যপাল। জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে ৪ বার ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়। তবে কে কাকে ফোন করে কী বলেছেন তা তিনি জানাবেন না।