Kolkata

লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করেননি, যাদবপুরে গিয়ে বললেন রাজ্যপাল

তিনি তাঁর লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করেননি। সংবিধানের মধ্যে থেকেই কাজ করছেন। রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার তিনি জানেন। অথচ তাঁকে নানাভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। কখনও তাঁকে যাদবপুরে আসা নিয়ে বলা হচ্ছে। কখনও শিলিগুড়ি যাওয়া নিয়ে বলা হচ্ছে। কখনও তাঁকে দেওয়া নিরাপত্তা নিয়ে বলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানেন তিনি তাঁর মন্ত্রীদের নিয়ে কী করবেন। তবে তিনি তাঁর কাজ চালিয়ে যাবেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের অবস্থান ফের একবার পরিস্কার করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

রাজ্যপাল এদিন ক্ষোভের সঙ্গেই বলেন, পুজো কার্নিভালের দিন তাঁকে অপমান করার কথা তিনি বলেছেন। এখন এক মন্ত্রী বলেছেন ওদিন নাকি তিনি ট্যুরিস্ট ছিলেন। না তিনি ট্যুরিস্ট ছিলেন না। তিনি একজন রাজ্যপাল হিসাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যপালের কথাতেই স্পষ্ট পুজো কার্নিভালে তাঁকে অবহেলা করা হয়েছে বলে যে দাবি তিনি করেছেন সে বিষয়ে এখনও তিনি একই অবস্থানে রয়েছেন। ফলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে পড়া মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ছাড়াতে সেখানে রাজ্যপালের নিজের হাজির হওয়ার ঘটনার পর রাজ্য ও রাজ্যপাল যে সংঘাত শুরু হয়েছিল তা এখনও পুরোমাত্রায় জারি আছে। বরং হয়তো তা বেড়েই চলেছে।


শুক্রবার ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিং। যেখানে আচার্য হিসাবে রাজ্যপাল হাজির ছিলেন। সেখানেও জটিলতার সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় যাঁদের নাম ডিলিট ও ডিএসসি প্রদানের জন্য নির্বাচিত করেছে তাঁদের নামে অনুমোদন দিতে রাজি ছিলেন না রাজ্যপাল। তিনি নামগুলি কেন তালিকায় জায়গা পেল তা জানতে চান। তাঁদের সম্বন্ধেও আরও বিস্তারিতভাবে জানতে চান। এরপর অবশ্য ভোটাভুটিতে ওই নামগুলিই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সিদ্ধান্ত এখানেই হয়ে গেছে। নামগুলি রাজ্যপালের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিয়ম মেনেই পাঠানো হবে। কিন্তু এখানে যেহেতু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তাই নাম আর বদল করা যাবেনা।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button