যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের হাতে আটকে পড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ছাড়াতে সরকারের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেখানে গিয়ে প্রথম রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত শুরু হয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। তারপর রাজ্যপালের ডাকা প্রশাসনিক কর্তাদের বৈঠক হোক বা দুর্গাপুজো কার্নিভাল। সব ক্ষেত্রেই রাজ্যপাল রাজ্য সংঘাত সামনে এসে পড়েছে। এতে ২ তরফে একটা ঠান্ডা যুদ্ধ যে শুরু হয়েছিল তা মেনে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। সেই পরিস্থিতিতে আগ বাড়িয়ে নিজেই ভাইফোঁটার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল।
মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরকালে সেই চিঠি লেখা হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরে দিন বদলে ভাইফোঁটা নয়, তাঁর বাড়ির কালীপুজোয় রাজ্যপালকে আসার জন্য বলেন। রাজ্যপাল তাতে রাজি হয়ে যান। তিনি তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে করে কালীপুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যেতে পছন্দই করছেন বলে জানান রাজ্যপাল। ফলে রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় রাজ্যপালকে দেখা যাবে বলেই মনে করছেন সকলে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজো শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তারপর থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। এখনও কালীপুজোর রাতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পুজোর তদারকি করেন। ৪১ বছরের এই পুজোয় চিরকাল তাঁর দলের বিভিন্ন বড় নেতাদের দেখা যেত। মুখ্যমন্ত্রীর পুজোয় একবার অন্তত আসেন তাঁরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। স্ত্রীকে সঙ্গে করেই মমতার বাড়িতে যেতে চলেছেন তিনি। সে তো হল। কিন্তু তাতে ২ তরফে যে ঠান্ডা লড়াই চলছে তা প্রশমিত হবে কী? ভবিষ্যতে সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে সামনে আসতে চলেছে বলে মনে করছেন সকলে।