তিনি যে রাজ্যপাল স্বরূপ চিরাচরিত রীতিনীতি মানার মানুষ নন তা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হওয়ার কদিনের মধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছেন জগদীপ ধনকর। কখনও বাবুল সুপ্রিয়কে ছাত্রদের ঘেরাও থেকে মুক্ত করে আনতে তিনি হাজির হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, কখনও প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন, কখনও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যেতে চেয়েছেন এবং কালীপুজোয় হাজিরও হয়েছেন। সেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর শুক্রবার ধরা পড়লেন অন্য রূপে। রাজভবনের সবুজ ঘেরা বিশাল প্রাঙ্গণ ছেড়ে এদিন তিনি ভোরে সস্ত্রীক প্রাতঃভ্রমণে হাজির হন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে।
পরনে ছিল ক্রিম রঙের জ্যাকেট। হাঁটতে হাঁটতে নিজেই অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়ে সেখানে প্রাতঃভ্রমণরত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কুশল জানতে চান। আবার কখনও রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে অনেকে সেলফি তুলতে চাওয়ায় তাঁদের আবদার মেটান। ছোটদের সঙ্গে করমর্দন করেন। তাদের পড়াশোনা নিয়ে জানতে চান। সব মিলিয়ে এদিন রাজ্যপালকে ঘিরে ভিক্টোরিয়া চত্বর সাতসকালেই সরগরম হয়ে ওঠে।
সাধারণত রাজনৈতিক নেতাদের এভাবে জনসংযোগ করতে দেখা যায়। এদিনও বিরাটিতে চায়ে পে চর্চা করেন বিজেপির সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু রাজ্যপালকে এভাবে সাধারণত দেখা যায়না। তিনি আমজনতার সঙ্গে মেশার বড় একটা চেষ্টা করেননা। জগদীপ ধনকর কিন্তু সেদিক থেকে একদম অন্য ধারার রাজ্যপাল হিসাবে নিজেকে তুলে ধরলেন।