এ দুর্গে প্রচুর ধনসম্পদ রয়েছে, কিন্তু কোথায়, রহস্য আজও রহস্যই
এ দুর্গের ছত্রে ছত্রে রহস্য লুকিয়ে আছে। গুপ্তধনের রহস্য। যার পিছনে খোদ সরকারও পড়েছিল। কিন্তু হাতে আসেনি কিছুই। তন্ন তন্ন করে খোঁজার পরও।
কথিত আছে, দিল্লির মসনদে তখন সম্রাট আকবর রাজত্ব করছেন। আকবরের সেনাপতি ছিলেন মান সিং। তিনি আফগানিস্তান থেকে ফেরার সময় কিছু জিনিসপত্র একটি দুর্গে লুকিয়ে রেখে আসেন। কি লুকিয়েছিলেন তা অবশ্য কারও জানা ছিলনা।
ওই দুর্গে যে প্রচুর গুপ্তধন রয়েছে এমন কথা বিভিন্ন সময়ে মুখে মুখে ঘুরত। রাজস্থানে আরাবল্লী পর্বতমালার ওপর অবস্থিত এই দুর্গের নাম জয়গড় ফোর্ট বা জয়গড় দুর্গ।
জয়গড় দুর্গে রয়েছে একটি কামান। জয়বাণ কামান। চাকা লাগানো এই কামানকে বলা হয় সে সময়ের সবচেয়ে বড় কামান। যা অবশ্যই ঐতিহাসিক এবং বিশেষ দ্রষ্টব্য।
এই কামান যেখানে বসানো রয়েছে, তার ঠিক পিছনে রয়েছে এই দুর্গের জলাধারটি। এমন অতিকায় জলাধার রাজস্থানের জয়গড় দুর্গের অন্যতম বিশেষত্ব।
এই জলাধারে একসঙ্গে ৬০ লক্ষ গ্যালন জল মজুত রাখা যেত। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটা মনে করা হত যে এই জলাধারের তলাতেই লুকিয়ে রাখা আছে বিশাল গুপ্তধনের ভান্ডার।
১৯৭৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে এই জয়গড় ফোর্টে গুপ্তধনের খোঁজে তল্লাশি হয়। ওই জলাধারের তলাতেও সে সময় তল্লাশি হয়। কিন্তু কোনও গুপ্তধনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ওই দুর্গে যে গুপ্তধন আছে তা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মুখে মুখে ঘোরে। আজও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু রহস্য আজও রহস্যই রয়ে গেছে। আজও এ দুর্গ থেকে কোনও গুপ্তধন উদ্ধার সম্ভব হয়নি। কোথায় তা লুকিয়ে রাখা আছে বা আদৌ আছে কিনা তা আজও অজানা।