ব্রিটিশদের রাওলাট আইনের বিরোধিতা করে জালিয়ানওয়ালা বাগের চত্বরে সেদিন জমা হয়েছিলেন বহু মানুষ। যার মধ্যে অনেক মহিলা ও শিশুও ছিল। দিনটা ছিল ১৩ এপ্রিল ১৯১৯। ঠিক একশো বছর আগের ঘটনা। সেদিন সেই নিরীহ, শান্তিপূর্ণ জমায়েতকে চারধার থেকে ব্রিটিশ সেনা দিয়ে ঘিরে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয় ব্রিটিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেগিনাল্ড ডায়ার। ব্রিটিশ শাসনে ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া এই ন্যাক্কারতম ঘটনার পর নাইট উপাধি ত্যাগ করেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই বীভৎস হত্যাকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্ণ হল শনিবার।
জালিয়ানওয়ালা বাগের সেই প্রাঙ্গণে রয়েছে একটি বিশাল স্মৃতিসৌধ। দেওয়ালের গায়ে চৌকো চৌকো করে দেখানো গুলির দাগ। স্মৃতিসৌধে এদিন সম্মান জানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। সেদিনের শহীদদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইটও করেন রাষ্ট্রপতি। ট্যুইট করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীও।
ব্রিটেন সরকারিভাবে কখনও জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চায়নি। তবে এদিন ভারতে কর্মরত ব্রিটিশ হাইকমিশনার স্যার ডমিনিক অ্যাসকুইথ জালিয়ানওয়ালা বাগের স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ভিজিটরস বুকে লেখেন ওদিন যা ঘটেছিল তারজন্য তিনি অত্যন্ত অনুতপ্ত। পরে তিনি বলেন, তিনি এখানে এসেছেন ব্রিটিশ সরকার ও ব্রিটেনের জনগণের তরফে দুঃখ প্রকাশ করতে। তিনি আরও বলেন, সেদিন যা ঘটেছিল তা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ওই ঘটনাকে ব্রিটিশ ইতিহাসের এক লজ্জাজনক অধ্যায় বলে গত সপ্তাহেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্যাখ্যা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)