আর সামলানো যাচ্ছেনা, ৪০ বছর আগেই সতর্ক করেছিলেন ক্যামেরন
এখন আর সামলানো যাচ্ছেনা। কিন্তু এ ভয়ংকরতা নিয়ে ৪০ বছর আগেই সতর্ক করেছিলেন টার্মিনেটর সিনেমার পরিচালক। সেদিন কেউ কথা শোনেনি।
১৯৮৪ সালে মুক্তি পায় জেমস ক্যামেরন পরিচালিত সাইফাই সিনেমা টার্মিনেটর। মুক্তি পাওয়ার পর মানুষকে অবাক করে দিয়েছিল সিনেমার সাইবর্গ চরিত্র। সে সময় মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চোখে দেখেনি। বাস্তবেও তার কোনও অস্তিত্ব ছিলনা। ছিল কল্পনায়। যা বইয়ের পাতা বা সিনেমার পর্দায় ভালও লাগত।
জেমস ক্যামেরনের দাবি, সেই সময়ই কিন্তু তিনি এআইয়ের সর্বগ্রাসী ক্ষমতা সম্বন্ধে সকলকে টার্মিনেটর সিনেমায় সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু সে সময় কেউ তাঁর বার্তাকে গ্রাহ্য করেননি।
আর এখন ৪০ বছর পর যখন এআই সিনেমা জগতে থাবা বসিয়ে দিয়েছে, তখন সকলে তা নিয়ে তৎপর। এখন হলিউড বিক্ষোভ আন্দোলনে যাচ্ছে।
হলিউডে সিনেমা ফেলে অভিনেতা থেকে কলাকুশলী সকলেই প্রায় ধর্মঘট, স্লোগানে ব্যস্ত। তাঁদের ক্ষোভের একটি অবশ্যই স্টুডিওগুলির সিনেমা তৈরিতে অতিরিক্ত পরিমাণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি নির্ভরতা। যা ক্রমশ গ্রাস করে নিচ্ছে অনেক কাজও।
সেসব কাজে আর কাউকে দরকার পড়ছে না। অনেক বেশি নিখুঁত ও সুন্দরভাবে সে কাজ করে দিচ্ছে এআই। আর এখানেই ক্ষোভে ফুটছে হলিউড।
ক্যামেরনের কথায় যা প্রতিফলিত হচ্ছে তা কিন্তু মোটেও সুখের নয়। ক্যামেরনের মতে এআই আর সুখ কল্পনা নয়। এখন তা কঠিন বাস্তব। আর তাকে হঠানো এত সোজা নয়।
বরং এআই যে আগামী দিনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছে, তা এখনই পরিস্কার। আর তা হলে আগামী দিনে মানবসভ্যতাই বিপদের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা