টাইপরাইটারে লেখেন না, অনায়াসে টাইপ করে এঁকে ফেলেন পছন্দের ছবি
তাঁর বাড়িতে একাধিক টাইপরাইটার রয়েছে। কিন্তু তার একটিতেও তিনি লেখেন না। তাঁর কাছে টাইপরাইটার ছবি আঁকার পেনসিল ছাড়া আর কিছু নয়।
একজন চিত্রকর একটা ক্যানভাস, রং, তুলি, আঁকার পেনসিল পেলে খুশি। তারপর তাঁর হাতের যাদুতে ক্যানভাসে ফুটে ওঠে কত মুহুর্ত। কিন্তু এমনও চিত্রকর রয়েছেন যিনি পেনসিল দিয়ে ক্যানভাসে নয়, এ ফোর পেপারে টাইপরাইটার দিয়ে ছবি আঁকেন।
তাঁর ঘরে গেলে শোনা যায় বেজে চলেছে টাইপরাইটার। বাইরে থেকে শুনে মনে হতেই পারে যে তিনি কোনও লেখা টাইপ করতে ব্যস্ত।
কিন্তু সামনে এলে অনেকেরই মাথা ঘুরে যেতে পারে। টাইপ করছেন বটে, তবে তা দিয়ে লেখা নয় তৈরি হচ্ছে ছবি। এমনভাবেই টাইপের কালি ছাপ ফেলছে সাদা পাতায়।
২৫ বছর বয়সী জেমস কুক লন্ডনের বাসিন্দা। ২০১৪ সালে যখন তিনি আর্ট স্কুলে পড়ছেন, তখন থেকেই তাঁর মাথায় এই অভিনব আইডিয়া ঘুরপাক খেতে শুরু করে। তারপর শুরু করেন টাইপরাইটার দিয়ে ছবি আঁকা।
করবেন টাইপ, তবে সাদা পাতা সেজে উঠবে অপরূপ সব ছবিতে। এখন কুক তাঁর এই বিশেষ ক্ষমতাকে রপ্ত করে ফেলেছেন।
লন্ডনে এখন তাঁর নিজের একটি স্টুডিও রয়েছে। সেখানে সারি দিয়ে রাখা থাকে টাইপরাইটার। একটাতেও এক কলম লেখা হয়না। অথচ যখনই সেখানে যাওয়া যায় তখনই শোনা যায় নিস্তব্ধ সেই ঘরে নিজের দুনিয়ায় মেতে আছেন কুক। টাইপ করে চলেছেন অনর্গল। আর তাতে ফুটে উঠছে একের পর এক ছবি।
টাইপরাইটার দিয়ে যে ছবি আঁকা যেতে পারে সেটা কুক নিজেও প্রথমে বিশ্বাস করেননি। তবে তাঁর মনের ইচ্ছা পূরণ করতে তিনি চেষ্টা করে দেখেন। আর তাতেই এক সময় আসে সাফল্য।
টাইপরাইটারের ইংরাজি হরফ, সিম্বল, সংখ্যা যে কখন ছবি হয়ে ওঠে তা বুঝতেই পারেননা সাধারণ মানুষ। কুক কিন্তু হরফ, সংখ্যার মধ্যেই খুঁজে নেন পেনসিলের টান।