স্কুলে একের পর এক জুতো চুরি, চোরকে দেখে চক্ষু চড়কগাছ
এক জুতো চুরি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয় স্কুল কর্তৃপক্ষকে। তাতে কাজ হয়। জুতো চোরের সন্ধান মেলে। কিন্তু চোরকে দেখে হেসেই চলেছেন সকলে।
একটি ছোটদের স্কুল। সেখানে নানাধরনের সুন্দর সুন্দর জুতো পরেই ছোটরা স্কুলে আসে। তবে স্কুলের মধ্যে জুতো পরে থাকতে দেওয়া হয়না। সেজন্য সেই ছোটদের স্কুলে রয়েছে রংবেরংয়ের একটি জায়গা। সেখানে ছোট ছোট তাক করা আছে। যেখানে জুতো রেখে স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করতে হয়।
কয়েকদিন ধরে স্কুল কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়েছিল সেই ছোটদের জুতো। তাদের সেই সুন্দর সুন্দর জুতো কে বা কারা যেন চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছিল। কিন্তু কে চুরি করছে তা জানা যাচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে অগত্যা পুলিশের দ্বারস্থ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ এসেও জুতো চোরের সন্ধান করতে না পেরে অবশেষে একটি ক্যামেরা পুলিশই ওই তাক লক্ষ্য করে লাগিয়ে দিয়ে যায়। আর তাতেই হয় কাজ। চোর ধরা পড়ে।
ক্যামেরায় তার ছবি পরিস্কার ধরা পড়ে গেছে। আর পালাবার পথ নেই। কিন্তু চোর কে তা জানতে পেরে সকলে তো হেসেই চলেছেন। কারণ ছোটদের ওই জুতো কোনও মানুষ চুরি করছিল না।
জুতো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল একটি নেউল। সে চারধার দেখে কাউকে দেখতে না পেলেই তাক থেকে জুতো মুখে করে নিয়ে পালাচ্ছিল। ফলে প্রতিদিনই জুতো চুরি যাচ্ছিল সেখান থেকে।
অবশেষে জুতো চোরের হদিশ পাওয়ার পর অবশ্য সে চুরি বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে চোর কে তা জেনেও তাকে গারদের পিছনে ঢোকাতে ব্যর্থ হল পুলিশ। যতই হোক, নেউলকে তো গ্রেফতার করা যায়না।