দেউলিয়া হচ্ছে একের পর এক সংস্থা, বেকার হয়ে যাওয়ার ভয়ও বাড়ছে
দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে এ দেশের একের পর এক সংস্থা। কেবল নভেম্বরেই ৮৩৪টি সংস্থা দেউলিয়া ঘোষণা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা বেকার হয়ে যাওয়ার ভয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
এ প্রবণতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। একের পর এক সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। দেউলিয়া ঘোষণা হওয়া মানে সংস্থা তো খাদের কিনারায় বটেই, সেই সঙ্গে সংস্থার কর্মচারিরাও খাদের কিনারায় চলে যাচ্ছেন। কারণ সংস্থা দেউলিয়া মানে কাজ যাওয়ার ভয়।
যে হারে সূর্যোদয়ের দেশের সংস্থাগুলির সূর্যাস্ত হচ্ছে তাতে ভয় পাওয়াটা অমূলকও নয়। রাতারাতি কাজ যেতে পারে। যে সংস্থায় কেউ কাজ করছেন এবং সেই সংস্থা দেউলিয়া ঘোষণা হয়নি, সেখানেও যে কোনও সময় দেউলিয়া ঘোষণার ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন সকল কর্মচারি।
হিসাব বলছে জাপানে গত বছরের নভেম্বরে যত সংস্থা দেউলিয়া ঘোষণা হয়েছিল, তার চেয়ে চলতি বছরের নভেম্বরে দেউলিয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে ৭.৯ শতাংশ হারে।
নিপ্পন দেনকাই-এর মত সংস্থাও দেউলিয়া ঘোষণা হয়েছে। সেখানে অন্য কর্পোরেট সংস্থা তো হতেই পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
এমনকি যে হারে জাপানে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা দেউলিয়া ঘোষণা হচ্ছে তাতে তা জাপানের সার্বিক অর্থনীতির ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে।
সে দেশের অর্থনীতি সংকটের মুখে পড়ার জোগাড় হয়েছে। ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্রের ওপর চাপ বেড়েই চলেছে জাপানে। অর্থনৈতিক পরিবেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যেই জাপানের ৯ হাজার ৫৩টি সংস্থা দেউলিয়া ঘোষণা হয়েছে। যা কোনও দেশের সার্বিক অর্থনীতির জন্য মোটেও সুখকর খবর নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা