মহাকাশে এই প্রথম ভেসে বেড়ানো শুরু করল প্রকৃতির দান, লেখা হল নতুন ইতিহাস
মহাকাশে এ জিনিসও ভেসে বেড়াতে পারে, কাজ করতে পারে, তা ভাবা যায়নি। কিন্তু সেটাই সত্যি হল। মহাকাশে এই প্রথম এ জিনিস ভেসে বেড়ানো শুরু করল।
মহাকাশ বিজ্ঞান এখন দুর্বার গতিতে ছুটছে। মহাকাশ গবেষণায় অগ্রণী যে হাতেগোনা কয়েকটি দেশ রয়েছে তার একটি অবশ্যই ভারত। এশিয়ার আরও যে ২টি দেশ মহাকাশ বিজ্ঞানে এগিয়ে রয়েছে সে ২টি হল চিন ও জাপান।
মহাকাশে ভারতের ইসরো একের পর এক রেকর্ড গড়ছে। ইতিহাস লিখছে। এবার সেই ইতিহাস গড়ার তালিকায় জাপানও একটি অধ্যায় যোগ করল। মহাকাশে কাঠের তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করে দেখাল জাপান।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে এই কাঠের তৈরি ঘনক আকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যার অন্যতম কাজ হবে আগামী দিনে মহাকাশে কাঠের ব্যবহার কতটা দীর্ঘমেয়াদে সম্ভব তা পরীক্ষা করে দেখা।
এর আগেই মহাকাশে ৩ ধরনের কাঠ ভাসিয়ে রেখে পরীক্ষা করা হয়েছিল। যাতে এটা বোঝা যায় যে কোন কাঠটি মহাকাশে টিকে থাকতে পারবে। অবশেষে হোনোকি ম্যাগনোলিয়া কাঠটি বেছে নেওয়া হয়।
তারপর সেটি দিয়ে তৈরি হয় এই কাঠের ঘনক আকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহটি। জাপানের নিজস্ব পদ্ধতি ব্যবহার করে তা চারধার থেকে জুড়ে দেওয়া হয়। ধার ধরে অবশ্য ধাতব প্যানেল রয়েছে। তবে উপগ্রহের শরীরটা পুরোটাই কাঠের।
জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা-র তৈরি এই কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহের নাম ‘লিগনোস্যাট’। এটাই প্রথম কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ যা মহাকাশে প্রতিস্থাপিত করা হয়।
এখন বিজ্ঞানীরা নজর রাখছেন এর উপর মহাশূন্যের তেজস্ক্রিয়তা ও তাপমাত্রা কতটা চাপ তৈরি করছে। কি পরিবর্তন হচ্ছে কাঠে। তার আদৌ কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, তার উপর নির্ভর করছে আগামী দিনে মহাকাশে কাঠের কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো কতটা গতি পাবে তার ভবিষ্যৎ।