শরীরচর্চা করতে ১ মাসে ১০০০টি ডিম খেয়ে নিলেন যুবক, তারপর যা হল
শরীরচর্চা করতে খাবারের প্রয়োজন। সেসব খাবারে ডিম অবশ্যই এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক যুবক তো ১ হাজার ডিম মাত্র ১ মাসে খেয়ে ফেললেন। তারপর তাঁর যা হল।
![Eggs](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2025/02/eggs.jpg)
শরীরচর্চা যাঁরা করেন তাঁদের প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। আর ডিম তো প্রোটিনের একটা বড় যোগানদার। এক যুবক স্থির করেন তিনি প্রচুর ডিম খাওয়া শুরু করবেন। তবে তাঁর এই অনেক ডিম খাওয়াটা যে এই পর্যায়ে পৌঁছবে তা বোধহয় কেউ ভাবতে পারেননি।
তিনি ১ মাসের মধ্যে ১ হাজার ডিম খেয়ে ফেলেন। প্রতিদিন অনেকগুলি করে ডিম খেতে থাকেন তিনি। কখনও অমলেট, কখনও ডিমের স্মুদি আবার কখনও ভাত দিয়ে কাঁচা ডিম মেখে খেতে থাকেন।
এভাবে এক মাসে ১ হাজার ডিম খাওয়ার পাশাপাশি তিনি শরীরচর্চাও করতে থাকেন। তিনি ভারোত্তোলন করতে থাকেন। নানাধরনের ওজন তুলতে থাকেন। ১ মাসে ১ হাজার ডিম খাওয়ার পর কি দেখা যায়? তাঁর কি অবস্থা হয়?
টোকিওর বাসিন্দা ইভরেট দেখেন তাঁর মাংসপেশি ৬ কেজি বেড়েছে। তাঁর ভার তোলার ক্ষমতাও ২০ কেজি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এমন অস্বাভাবিক সংখ্যক ডিম প্রতিদিন খাওয়া মানে তো কোলেস্টেরলের ভয়! সেটা তো বেড়ে যাওয়ার কথা!
কিন্তু দেখা যায় খুব অদ্ভুতভাবে তাঁর খারাপ কোলেস্টেরল তেমন বাড়েনি। বরং ভাল কোলেস্টেরল অনেকটাই বেড়ে গেছে। যা আদপে শরীরের উপকার করছে, অপকার নয়। তবে তাঁর হজমের সমস্যা হচ্ছিল শুরুর দিকে।
দিনে ৩০টার ওপর ডিম সহ্য করা কঠিন হচ্ছিল। কিন্তু ওই যুবক দেখেন সমস্যাটা কাঁচা ডিম খাওয়ার ফলে হচ্ছে। ফলে তিনি সেটা বন্ধ করে পরে রান্না করা ডিম খেতে থাকেন।
তবে এটা এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে হয়েছে। তাঁর শরীরচর্চার পরিমাণ, দেহের গঠন ও শারীরিক অন্যান্য বিষয় যুক্ত রয়েছে এই ১ মাসে হাজার ডিম খাওয়ার সঙ্গে। কারও এটা পড়ে বা শুনে উৎসাহী হয়ে এমন কাণ্ড শুরু করা উচিত নয় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা।
অবশ্যই ডিম খাওয়া বাড়ানোর আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারপরই কারও উচিত দিনে কটা ডিম খেতে পারেন তা স্থির করা।