১৯৮২ সালের পর নাগাড়ে বৃষ্টি ও ভূমি ধসে এত মানুষের মৃত্যু দেখেনি জাপান। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১৮০ ছুঁয়েছে। ৭০ জন এখনও নিখোঁজ। ৮০ লক্ষ মানুষকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বহু মানুষের জায়গা হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। সব হারিয়ে শুধু প্রাণটুকু রক্ষা পেয়েছে তাঁদের। বাড়িঘর, জিনিসপত্র সব ভেসে গেছে জলের তোড়ে। অথবা চাপা পড়েছে ধসে। এলাকা জুড়ে ধ্বংসলীলা কেড়ে নিয়েছে সঞ্চিত সবকিছু।
মধ্য ও পশ্চিম জাপানে প্রবল বৃষ্টি চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। ফলে ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল পরিস্থিতি। কিন্তু বৃষ্টি থামার নাম নেয়নি। খারাপ হতে হতে অবস্থা একসময়ে শোচনীয় আকার নেয়। বহু নদী বইছিল হড়কা বানের চেহারা নিয়ে। খড়কুটোর মত ভেসে যাচ্ছিল ঘরবাড়ি। ভেসে যাচ্ছিলেন মানুষজন। বৃষ্টি চলতেই থাকায় পাহাড়ি এলাকায় ধস নামছে অহরহ। আর তার তলায় চাপা পড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। প্রতিটি শহর, নগর, গ্রাম এখন কেবলই ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। দেখে চেনা যাচ্ছে না যে এখানেও একদিন কোনও সাজানো শহর ছিল।
যেটুকু বেঁচে আছে সেখানেও ভয়ংকর পরিস্থিতি। হাজার হাজার মানুষের বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় পড়ে। পানীয় জলের সংকট চরম আকার নিয়েছে। খাবার নেই। হিরোশিমা, ওকায়ামা, ইয়ামাগুচির মত শহরগুলো কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। বুধবার বৃষ্টি কিছুটা ধরেছে ঠিকই। কিন্তু যে ধ্বংসলীলার চিহ্ন চারদিকে স্পষ্ট, তাতে তা ফের কবে ছন্দে ফিরবে তা প্রশাসনের কাছেও পরিস্কার নয়। উদ্ধারকাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে নিজে হাজির হয়েছেন ওকায়ামায়। সেখানে আর্ত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। খতিয়ে দেখেন উদ্ধারকাজ।