বাবার দেহ ২ বছর আলমারিতে লুকিয়ে রাখলেন ছেলে, সব ফাঁস করল রেস্তোরাঁ
এমন এক ঘটনা যা হাড় হিম করে দিতে পারে। বাবা চলে যাওয়ার পর তাঁকে ২ বছর ধরে আলমারিতে লুকিয়ে রেখে দিলেন ছেলে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই রেস্তোরাঁ বন্ধ। এমন তো হয়না। বিষয়টি নজর এড়ায়নি প্রতিবেশিদের। তাঁরা বুঝে উঠতে পারছিলেননা এভাবে রেস্তোরাঁটা বন্ধ থাকছে কেন? অগত্যা বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয় এবং কারণ জানতে পুলিশের কাছে খবর যায়।
পুলিশ এসে রেস্তোরাঁ বন্ধ দেখে মালিকের খোঁজ করে। তারপর মালিকের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। নোবুহিকো সুজুকি নামে ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি তল্লাশি করতে গিয়ে আলমারি খোলে তারা। আর তা খুলতেই একটা কঙ্কাল দেখে চমকে ওঠে।
সুজুকি এরপর পুরো ঘটনা জানান। তিনি পুলিশকে জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর বাবার দেহে প্রাণ নেই। এবার তো তাহলে বাবার অন্ত্যেষ্টির আয়োজন করতে হয়। কিন্তু সেটাই করতে চাননি সুজুকি। কারণ তার খরচ অনেক।
ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মত খরচ হয় জাপানে সব নিয়ম মেনে অন্ত্যেষ্টি সম্পূর্ণ করতে। ওই বিপুল অঙ্কের টাকা সুজুকি বাবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় খরচ করতে নারাজ ছিলেন। তাই তিনি কাউকে তাঁর বাবার চলে যাওয়ার কথাই জানাননি।
বরং দেহটি নিয়ে আলমারিতে পুরে দেন। তবে এই ঘটনা জানার পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও সে কারণটা অন্য। সুজুকি বাবার দেহের সৎকার যেমন নিয়ম মেনে করেননি, তেমনই বাবার পেনশনের টাকাও তিনি গত ২ বছর ধরে তুলে যাচ্ছিলেন।