World

জনপ্রিয় অ্যানিমেশন স্টুডিও-তে অগ্নি সংযোগ, মৃত ৩৩

কিওঅ্যানির নাম জানেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। জাপানের ঘরে ঘরে এ নাম পরিচিত। জাপানের কিয়োটো শহরে ৩ তলা বাড়িটা জুড়ই কিয়োটা অ্যানিমেশন কোম্পানি স্টুডিও। এতবড় নাম না বলে সকলে একে কিওঅ্যানি নামে ডাকে। জাপানের একাধিক জনপ্রিয় অ্যানিমেশন এদের তৈরি। ৩ তলা অফিসে বৃহস্পতিবার সকালে ঢুকে পড়ে এক বছর ৪১-এর ব্যক্তি। তার হাতে গ্যাসোলিন জাতীয় জ্বালানি ছিল। ঢুকেই সে চারদিকে সেই তেল ছড়িয়ে দেয়। তারপর আগুন জ্বালিয়ে দেয়। হুহু করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৩ তলা বাড়িটাতে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন আগুনের লেলিহান শিখা, কালো ধোঁয়া বার হয়ে আসছিল বাড়িটা থেকে। বেশ কিছু বিস্ফোরণেরও শব্দ পান তাঁরা। সেই সময় ৩টি তলা মিলিয়ে ৭০ জন কিওঅ্যানিতে কাজ করছিলেন। তাঁদের অনেকেই আগুনের গ্রাস থেকে বার হতে পারেননি। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা স্টুডিও। দমকলের অপ্রাণ লড়াইয়ের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তার পরই ভিতরে ঢোকা সম্ভব হয়। এক এক করে বার করে আনা হয় মৃত ও আহতদের।


এই ঘটনায় ৩৩ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ ভিতরে একজনকে বসা অবস্থায় দেখতে পায়। তার পা পুড়ে গিয়েছিল। সে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে এ কাজ তারই। তবে কেন সে এমন কাজ করল তা এখনও পুলিশের কাছে পরিস্কার নয়। এদিকে যে ৩৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে জানিয়েছেন এ ভাষায় প্রকাশ করার নয়। তিনি মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করেছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জাপানে কয়েক দশকে একসঙ্গে এতজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে কিওঅ্যানিকে ফের বাঁচিয়ে তুলতে জাপানবাসী বদ্ধপরিকর। ঘটনার পরই কিওঅ্যানিকে ফের পুরনো অবস্থায় ফেরাতে সকলকে সাধ্যমত দান করতে অনুরোধ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই আবেদনের ১ ঘণ্টার মধ্যেই ৫০ হাজার ডলার সংগ্রহও হয়ে যায় ফান্ডে। অর্থদান তারপরও অব্যাহত থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button