প্রবল ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে। তাণ্ডব চালাচ্ছে। স্থলভূমিতে ঢোকার পরও তার দাপট বজায় রয়েছে। ফলে আবহাওয়ার পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ। এই অবস্থায় সড়ক, ট্রেন ও বিমান পরিষেবা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। জাপানের টোকিও বিমানবন্দরে ঠায় অপেক্ষায় রয়েছেন ১৭ হাজার যাত্রী। বিভিন্ন দিকে তাঁদের উড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কোনও বিমান ছাড়ছেই না। আবহাওয়া এতটাই খারাপ। ফলে অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।
টাইফুন ফাক্সাই গত সোমবারই আছড়ে পড়েছে জাপানে। তার দাপটে কার্যত গৃহবন্দি জাপানের বহু মানুষ। ঝড়ে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন। রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অগুন্তি গাছ উপড়ে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টিও হচ্ছে। সঙ্গে তীব্র ঝোড়ো হাওয়া। ফলে দৃশ্যমানতাও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। চারপাশ সাদা করে ঝরে চলেছে বৃষ্টি।
এরমধ্যেই ক্রমে অবস্থা স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে প্রশাসন। সোমবার স্তব্ধ থাকার পর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর থেকে ট্রেন চলাচল একটু একটু করে শুরু হয়েছে। টোকিওর মধ্যে ও আশপাশে লোকাল ট্রেন যাতায়াত করছে। বিভিন্ন রাস্তা পরিস্কার করার কাজও শুরু হয়েছে। শতাধিক বিমান বাতিল হওয়ায় ১৭ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরে অপেক্ষায়। ফলে বিমান পরিষেবাও আস্তে আস্তে চালুর করা চেষ্টা চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা