তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। তারপর যা মিলল তাতে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। ওই ডাক হরকরার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২৪ হাজারের বেশি চিঠি। যে চিঠি কেউ লিখেছিলেন পরিজনকে। নানা কারণ ছিল। প্রয়োজনীয়তা ছিল। কিন্তু সেসব চিঠি সঠিক ঠিকানার মুখ দেখেনি। বরং ডাক হরকরার বাড়ির কোণায় পড়ে পড়ে ধুলো খেয়েছে। আর ডাক বিভাগে একের পর এক অভিযোগ এসেছে যে চিঠি পোস্ট করা সত্ত্বেও তা সঠিক ঠিকানায় পৌঁছয়নি।
পরের পর অভিযোগ পেতে পেতে বিরক্ত ডাক বিভাগ অভ্যন্তরীণ একটি তদন্ত শুরু করে। তাতে দেখা যায় ২০১৭ সাল থেকে গত বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ২৪ হাজারের ওপর চিঠি ঠিকানায় পৌঁছয়নি। সেসময়ই সামনে আসে যে ওই ডাক হরকরা চিঠি সঠিক ঠিকানায় পৌঁছতেন না। কে অত কষ্ট করে পৌঁছতে যায়। এটাই ছিল ভাবনা। আর তাই চিঠিগুলো পৌঁছনোর বদলে নিয়ে এসে নিজের বাড়িতে জমা করতেন। তদন্তে প্রশ্নের মুখে তিনি সেকথা স্বীকার করে নেন। তারপরই তাঁকে বরখাস্ত করে ডাক বিভাগ।
পড়ুন : একটা জ্যান্ত কাঁকড়ার দাম উঠল সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকার বেশি
এই কাণ্ডে রীতিমত হতবাক মানুষজন। তাঁদের অনেক আশা করে লেখা চিঠি সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছতই না। পুলিশ ওই ঘটনার পর ওই ডাক হরকরাকে গ্রেফতার করেছে। ইয়োকোহামা পোস্ট অফিসের তরফে চিঠি প্রেরকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি চিঠিকে তার সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
জানা গিয়েছে ২০০৩ সাল থেকেই চিঠি ঠিকানায় না পৌঁছে বাড়িতে ফেলে রাখতেন ওই ব্যক্তি। আদালত ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লক্ষ ইয়েন জরিমানা করেছে। যে কোনও একটি বেছে নিতে হবে ওই ব্যক্তিকে। প্রসঙ্গত ৫ লক্ষ ইয়েন মানে ভারতীয় মুদ্রায় ৩ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা