করোনা উদ্বেগের মধ্যেই প্রবল কম্পনে কেঁপে উঠল জাপান
কম্পন অনুভূত হওয়ার পর অনেকেই ঘুম চোখে আতঙ্কে বাড়ি থেকে পরিবার নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। অনেকে তারপরে বাড়ি ঢুকতে চাননি আফটার শকের ভয়ে।
গত সপ্তাহেই জাপানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছিল জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপে। সেটা ছিল গত শনিবার। তারপর মাত্র ১ দিনের বিরাম। সোমবার ফের তীব্র কম্পন অনুভূত হল। এবার অবশ্য কম্পন অনুভূত হয় মিয়াগি এলাকায়। কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.১। যাকে তীব্র কম্পনের তালিকাতেই জায়গা দেওয়া হয়। সোমবার জাপানের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টায় কম্পন অনুভূত হয়।
কম্পন অনুভূত হওয়ার পর অনেকেই ঘুম চোখে আতঙ্কে বাড়ি থেকে পরিবার নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। অনেকে তারপরে বাড়ি ঢুকতে চাননি আফটার শকের ভয়ে। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ৫০ কিলোমিটার গভীরে।
তীব্রতা যথেষ্ট থাকলেও এই কম্পনের পরও কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। গত শনিবারও তীব্র কম্পনই অনুভূত হয়। কিন্তু ওইদিনও কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
সোমবার কম্পনের মাত্রা যথেষ্ট থাকলেও তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কোনও হতাহতের খবরও নেই।
জাপান বসে আছে প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার-এর ওপর। জাপানের এই অবস্থানই সেখানে প্রায়শ ভূমিকম্পের কারণ। সাধারণ কম্পনের সঙ্গে জাপানের মানুষ অভ্যস্ত। কিন্তু মাত্রা বেশি হলে তাঁদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়ায়। সুনামি আতঙ্কও পিছু তাড়া করে বেড়ায় তাঁদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা