জাপানের জন্য বড় ধাক্কা, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে ইস্তফা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার মধ্যেই ইস্তফা দিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
টোকিও : সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ইস্তফা দিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এটা অবশ্যই জাপানের জন্য বড় ধাক্কা। একে করোনার জন্য সব দেশই এখন এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি তো মাথার ওপর ঝুলছেই, তার ওপর করোনার জন্য অর্থনীতির দৈন্যদশা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। কবে ফের অর্থনীতির চাকা সুস্থ অবস্থা ফিরে পাবে তা একেবারেই পরিস্কার নয়। এরমধ্যে এভাবে একজন দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার সিদ্ধান্ত সূর্যোদয়ের দেশকে সমস্যায় ফেলল।
শিনজো আবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর পুরো সময়কাল শেষ করলেন না। তাঁর দল লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এখন জাপানের ক্ষমতাসীন দল। ফলে তাঁর ইস্তফার আগে দল শুক্রবার বৈঠকে বসে। শোনা যাচ্ছে সেখানে শিনজো-র পর কে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে কিন্তু একটানা ১৪৭ দিন কাজ করে গেছেন শিনজো আবে। তবে গত অগাস্টেই তিনি ২ বার হাসপাতালে যান চেকআপ করাতে।
শিনজো এদিন দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলেন তিনি তাঁর পুরো সময় কাজ করতে না পারার জন্য ক্ষমা প্রার্থী। তবে তাঁর অন্ত্রের নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যা আগেও তাঁকে ভুগিয়েছে। এবার তাঁর এক অন্য চিকিৎসা করা হবে। এই চিকিৎসায় তাঁকে দীর্ঘ সময় যত্নে থাকতে হবে। তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষাও হবে। চলতি সপ্তাহেও তাঁকে শারীরিক কারণে গত সোমবার হাসপাতালে দীর্ঘ সময় থাকতে হয়। শারীরিক সমস্যা এভাবে থাকলে তা সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন শিনজো আবে।
শিনজো আবে জাপানের অত্যন্ত জনপ্রিয় এক নেতা। তাঁর পরে কে এটা নিয়ে ইতিমধ্যেই হৈচৈ শুরু হয়েছে। লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-র তরফে জানানো হয়েছে দৌড়ে রয়েছে কয়েকজন। তবে এগিয়ে রয়েছেন চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা। এছাড়াও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে কমপক্ষে ২ জনের। প্রসঙ্গত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শিনজো আবে-র সখ্যতা অনেকেরই জানা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা