তলানিতে শিশুর জন্ম, অতিমারির জেরে কমেছে বিয়েও
করোনার সময় সন্তানসম্ভবা নারীর খোঁজ মেলা মুশকিল হয়েছে। তলানিতে ঠেকেছে শিশুর জন্ম। অতিমারির জেরে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল।
করোনায় স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ কেটেছে সন্দেহ নেই। তার নানা প্রভাব পড়েছে স্বাভাবিক নিয়মে। যেমন দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালে জাপানে শিশুর জন্ম তলানিতে ঠেকেছে।
গত ১২১ বছরে সে দেশে এত কম শিশু এক বছরে ভূমিষ্ঠ হয়নি। যা কার্যত উদ্বেগ বাড়িয়েছে সরকারের। সরকার মনে করছে যে এভাবে নবজাতকের সংখ্যা কমতে থাকলে তা দেশের অর্থনীতির পক্ষেও বিপজ্জনক।
একটি রিপোর্ট পেশ করে জানানো হয়েছে ১৮৯৯ সাল থেকে জাপান সরকার প্রতি বছর কত শিশু ভূমিষ্ঠ হয়েছে তার হিসাব রাখে। দেখা গেছে সেই সময় থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রেকর্ডে সবচেয়ে কম শিশু জন্মেছে ২০২০ সালে।
জাপানে এই প্রথম এক বছরে ৯ লক্ষের কম শিশু জন্ম নিয়েছে গত বছরে। ৮ লক্ষ ৪০ হাজার শিশু জাপানে ২০২০ সালে জন্ম গ্রহণ করেছে।
জাপানে করোনা অবশ্যই একটা বড় ধাক্কা দিয়েছে। সামাজিকভাবে ধাক্কা দিয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ধাক্কা দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে বিয়ে পর্যন্ত জাপানে উল্লেখজনক ভাবে কমেছে।
জাপানে তার আগের বছরের তুলনায় ৭৩ হাজারের কিছু কম বিয়ে হয়েছে। হিসাব বলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত কম সংখ্যক মানুষের বিয়ে জাপানে আর হয়নি। সরকার যা নিয়ে চিন্তিত।
জাপানে করোনার একটা বড় প্রভাব তো ২০২০-তে এই পরিস্থিতির জন্য পড়েছেই। এছাড়াও সরকার মনে করছে জাপানে সন্তানকে বড় করে তোলার প্রতিবন্ধকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। খরচও বাড়ছে।
ফলে এই সমস্যাগুলি দূর না করতে পারলে মানুষ সাহস করছেননা। সন্তানকে বড় করা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। বাবা-মায়ের এই চিন্তাও কমার দরকার রয়েছে।
জাপান সরকার ২০২০ সালে দেশে নবজাতক জন্মানোর সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে বৈঠকও হচ্ছে। কীভাবে এই সমস্যা মেটানো যায় তার রাস্তা বার করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রক এও জানাচ্ছে যে দেশে ডিভোর্স-এর ঘটনাও কমেছে গত বছরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা