প্রাতরাশে বিশেষ উপাদানটি রুখে দিতে পারে করোনা, দাবি গবেষকদের
প্রাতরাশে একটি বিশেষ উপাদান আটকে দিতে পারে করোনার বাড়বাড়ন্ত। এমনই দাবি করলেন জাপানের একদল গবেষক। তাঁদের এই দাবির সপক্ষে পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ দাখিল করেছেন গবেষকরা।
গাঁজানো সয়াবিনকে বলা হয় সুপার ফুড। যাতে সয়াবিনের বড়িগুলি থাকে। তবে তা তুলতে গেলে কিছুটা লেইয়ের মত উঠে আসে। রসে গেলে যেমন একটা আঠাল ভাব তৈরি হয় তেমনই। শুধু তাই নয়, গাঁজানো সয়াবিনের গন্ধও হয় চড়া। নাকে রীতিমত ঝাঁঝালো হয়ে লাগে। গন্ধটা সহ্য করতে হয়।
ব্যাখ্যা শুনে অনেকের মনে হতেই পারে যা হয় হোক কিন্তু এমন খাবার তাঁরা মুখে তুলতে পারবেননা। তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখা দরকার যে এই গাঁজানো সয়াবিনই জাপানের মানুষের অধিকাংশ দিনের প্রাতরাশ।
ভুলবশত রেখে দেওয়ায় গেঁজে যাওয়া নয়। পরিকল্পনা করেই গাঁজানো হয় সয়াবিন। তারপর তা গাঁজানো হয়ে গেলে খাওয়া হয়।
জাপানে এই খাবারটির নাম ‘নাত্তো’। জাপানিদের মধ্যে প্রাতরাশে নাত্তো-র চল আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের সকালে খাবারের টেবিলে এই নাত্তো জায়গা পেয়ে আসছে। আর প্রায়দিনই জায়গা পেয়ে আসছে। জাপানিরা বিশ্বাস করেন এতে রয়েছে প্রচুর খাদ্যগুণ।
গবেষকরাও কিন্তু জাপানের সাধারণ মানুষের সঙ্গে একমত। তাঁরাও মেনে নিচ্ছেন এই নাত্তোতে রয়েছে অনেক গুণ।
গবেষকদের দাবি, কোভিড ভাইরাস শরীরের কোষগুলিকে নষ্ট করতে থাকে। আর নাত্তো সেইটাই রুখে দেয়। কোভিড ভাইরাস কোষের ক্ষতি করে উঠতে পারেনা নাত্তোর জন্য।
এই সুপারফুড গৃহপালিত পশুদের মধ্যে সংক্রমিত বিএইচভি-১ ভাইরাসকেও রুখে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কোভিড ভাইরাস ও বিএইচভি-১ ভাইরাসের ওপর ঠান্ডা অবস্থায় নাত্তো ও গরম জলে তৈরি নাত্তোর রসের প্রভাব পরীক্ষা করে দেখেন গবেষকরা।
গবেষকদের পর্যবেক্ষণ, ঠান্ডায় গাঁজানো সয়াবিন ২টি ভাইরাসের ওপরই কার্যকরি। যা ভাইরাসগুলির ক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে সহজেই। যা গরম জলে করা নাত্তোর রসে সম্ভব হচ্ছেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা