মানুষের ঢোকা দুঃসাধ্য এমন জায়গায় ঢুকে সেখানকার সব খবর দেবে আরশোলা
আরশোলাকে যে এভাবে কাজে লাগানো যায় তা দেখিয়ে দিল বিজ্ঞান। জীবন্ত আরশোলারা এবার মানুষের পৌঁছনোর বাইরে গিয়ে ঝুঁকির জায়গার খবর দেবে।
আরশোলা এত কাজের তা কে জানত! কাজে লাগাতে পারলে আরশোলা যেসব জায়গার খবর এনে দিচ্ছে সেখানকার খবর মানুষের পক্ষে পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। এমন সব জায়গায় অবাধ গতি আরশোলাদের।
আরশোলাদের এই বিচরণকে কাজে লাগিয়ে এবার পৌঁছনো দুঃসাধ্য এমন সব জায়গার খবর জোগাড় হবে অনায়াসে। বিজ্ঞানীরা এজন্য প্রাথমিকভাবে মাদাগাস্কারের আরশোলাদের কাজে লাগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে এ কাজ যে কোনও আরশোলার পক্ষেই সম্ভব। শুধু অগম্য স্থানের খবর দেওয়াই নয়, এই আরশোলাদের কাজে লাগিয়ে আবহাওয়াকেও নজরে রাখবেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা এজন্য আরশোলাদের ধরে তাদের পিঠে লাগিয়ে দিচ্ছেন অতি হাল্কা একটি যন্ত্র। যা পিঠে থাকলে আরশোলাদের হাঁটাচলা করতে কোনও সমস্যা হবে না। তারা ভার অনুভবও করতে পারবেনা।
এই যন্ত্রগুলিকে সচল রাখতে থাকছে রিচার্জেবল ব্যাটারি অথবা সোলার প্যানেল ব্যাটারি। বিজ্ঞানীরা সোলার প্যানেলকেই সবচেয়ে বেশি ভাল উপায় হিসাবে নিচ্ছেন।
এবার এই যন্ত্র পিঠে লাগিয়ে দেওয়ার পর আরশোলা তো গর্তে ছিদ্রে প্রবেশ করছে। আর সেখানকার সব খবর ওই যন্ত্র মারফত পৌঁছে যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের কাছে।
এভাবে মানুষের পক্ষে পৌঁছনো অসম্ভব সব ছিদ্রের ভিতরের পরিস্থিতি এবং আবহাওয়া সম্বন্ধেও খবর পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যা তাঁদের নানা পরিস্থিতি আগে থেকে বুঝতে সাহায্য করবে।
এই আরশোলাদের নাম দেওয়া হয়েছে সাইবর্গ আরশোলা। যারা জ্যান্ত আরশোলা বটে তবে গায়ে বাঁধা থাকে যন্ত্র। আগামী দিনে গুবরে পোকা থেকে শুরু করে সব ধরণের পতঙ্গের দেহের সঙ্গে এমন অতি হাল্কা যন্ত্র বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণাটি চালিয়েছেন জাপানের আরআইকেইএন ক্লাস্টার ফর পাইওনিয়ারিং রিসার্চ-এর গবেষকেরা।