ডিম নাকি ভিনগ্রহের যান, সমুদ্রসৈকতে অতিকায় বল ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
সমুদ্রসৈকতে তো কত কিছুই ভেসে আসে। তা বলে এমন এক অতিকায় বল কেউ কখনও দেখেননি। যা ঘিরে শুরু হয় তুমুল জল্পনা।
সমুদ্রের ধারে বালির তটে মানুষজন ঘুরতে ঘুরতে এক জায়গায় এসে থমকে দাঁড়িয়ে পড়তে বাধ্য হন। বালির ওপর ওটা কি! নজর পড়ার পর চোখ সরানোর উপায় নেই।
এক অতিকায় বল! যা ভেসে এসেছে সমুদ্রের জলের সঙ্গে। অতিকায় মানে কিন্তু বাস্তবিকই অতিকায়। যা দেখে প্রথমেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় কানাঘুষোও।
স্থানীয় প্রশাসন বস্তুটি কি তা পরিস্কার করে না জানাতে পারায় জল্পনা আরও তুঙ্গে ওঠে। কেউ বলেন ওটা গডজিলার ডিম নয়তো! কেউ আবার সেটিকে ভিনগ্রহ থেকে আগত কোনও বস্তু বলে মনে করেন। কেউ আবার অন্য কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে বার করেন। এভাবে নানা কথা ছড়িয়ে পড়ে।
জাপানের হামামাৎসু শহরের সমুদ্রসৈকতে পাওয়া ওই বল পরীক্ষা করার পর এটা পরিস্কার হয় যে সেটি ধাতুর তৈরি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিও জানার চেষ্টা করে জিনিসটি আসলে কি? কিন্তু তার কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।
এটুকু নিশ্চিত হয় যে গোলাকার বস্তুটি কোনও ক্ষতিকর কিছু নয়। গোলের মধ্যেটা ফাঁপা। বলটিকে কিছু সময় পর স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সমুদ্রসৈকত থেকে। ফলে তাকে ঘিরে কৌতূহলী মানুষের ভিড় কমে।
স্বাভাবিক নিয়মে ফের ফিরে আসে সমুদ্রসৈকতের দৈনন্দিন চিত্র। তবে জল্পনাটা থেকে যায়। কারণ জিনিসটি যে ঠিক কি তা প্রশাসনের তরফে পরিস্কার করা হয়নি।