বেড়ালদের জন্য মন্দির, প্রধান পুরোহিত ও সেবায়েতদের কথা শুনলে ভিরমি খেতে পারেন
কোনও মন্দির যে বেড়ালদের জন্যও হতে পারে এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারবেননা। কিন্তু এমন এক মন্দির রয়েছে। যেখানে বহু পর্যটকের ভিড়ও জমে প্রতিদিন।
এ মন্দির খুব পুরনো নয়। তৈরি হয়েছে ২০১৬ সালে। মন্দিরটির বিশেষত্ব লুকিয়ে আছে বেড়ালের মধ্যে। কারণ মন্দিরটিই তো বেড়ালের মন্দির। এখানে প্রচুর বেড়ালের মডেল আছে। নানা ভঙ্গিমায়, নানা রংয়ে, নানা রূপে তারা ছড়িয়ে আছে মন্দির জুড়ে।
রয়েছে চিত্রকরের আঁকা বেড়ালের ছবিও। মন্দিরটি তৈরিও করেন এক চিত্রকর। নাম তোরু কায়া। মন্দিরটির নামও মিউ মিউ টেম্পল।
জাপানের কোয়োটো শহরে গেলে এই মন্দির দেখতে পাওয়া যাবে। স্থানীয়রা অবশ্য এই বেড়াল মন্দিরকে ডাকেন নিয়া নিয়া জি নামে। প্রসঙ্গত জাপানের মানুষ বিশ্বাস করেন বেড়াল সৌভাগ্য আনে জীবনে। তাই বেড়াল তাঁদের কাছে অন্য সম্মান পায়।
এই বেড়াল মন্দিরটি আরও বিখ্যাত তার প্রধান পুরোহিত এবং বাকি সেবায়েতদের জন্য। কারণ এই বেড়াল মন্দিরের প্রধান পুরোহিতও বেড়াল। একটি স্ত্রী বেড়াল। তার নাম কোয়ুকি।
কোয়ুকি জাপানে খুবই জনপ্রিয়। তার মিশুকে স্বভাবের জন্য সকলে তাকে পছন্দ করেন। পর্যটকরাও এলে সে নিজে গিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করে আসে।
তবে প্রধান পুরোহিত হওয়ায় তার গলায় ঝোলানো থাকে বিশেষ ধরনের মালা। তাকে সাহায্য করার জন্য বেশ কয়েকজন সেবায়েত রয়েছে মন্দিরে। তারাও বেড়াল। স্ত্রী পুরুষ মিশিয়ে সেবায়েত রয়েছে সেখানে।
কোয়োটো শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে এই বেড়াল মন্দির। বিদেশ থেকেও পর্যটকেরা এই শহরে ছুটে আসেন এই বেড়াল মন্দির দেখতে।