সর্দি হলে এখানে জনসমক্ষে ভুলেও নাক ঝাড়বেন না
সর্দি হলে নাক দিয়ে জল পড়ে। কিন্তু একটি জায়গা রয়েছে যেখানে সর্দির অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে জনসমক্ষে নাকঝাড়া যায়না।
সর্দি তো হতেই পারে। অথবা সর্দি না হলেও নাক সুড়সুড় করতেই পারে। অনেকের অ্যালার্জি থেকে এমনটা হয়। অনেকেই এমন অবস্থায় নাক ঝেড়ে নেন। সেক্ষেত্রে নাকের মধ্যে থাকা সর্দি বা জল বেরিয়ে আসে। নাক কিছুটা সাফ হয়। ফলে অস্বস্তি কমে।
অনেকেই রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে এমন নাক ঝেড়েই থাকেন। অনেকে রাস্তায় সকলের সামনে রুমাল বার করে নাক ঝেড়ে নেন। নাকে থাকা সর্দি বা জল রুমালে এসে লাগে। নাক সাফ হয়।
সহজ কথায় নাক পরিস্কার করতে নাকঝাড়া একটা খুব সাধারণ অভ্যাস। যার সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষই অভ্যস্ত। রাস্তা, ভিড়ের জায়গা, সাধারণ যানবাহন সর্বত্রই এই নাকঝাড়া নজরে পরে। যা নিয়ে পাশের মানুষটি বিশেষ ভেবেও দেখেননা। কারণ তিনিও প্রয়োজনে এমনটা করে থাকেন।
কিন্তু এই নাকঝাড়া বিশ্বের একটি দেশে গেলে কিন্তু না করাই ভাল। নাক ঝাড়বেন না এমনটা নয়। তবে সকলের সামনে বা রাস্তাঘাটে নয়। নাক ঝাড়তে চাইলে নিজের ঘরে বা বাথরুমে ঢুকে নাক ঝাড়তে হবে।
জাপানে কিন্তু জনসমক্ষে নাকঝাড়া অত্যন্ত অশোভন একটি কাজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। রাস্তায় তাই জাপানে কেউ নাকঝাড়ার মত ভুল করেননা।
আর যদি কেউ বাইরে থেকে সেখানে গিয়ে থাকেন, যিনি এই বিষয়টির সঙ্গে অবগত নন, তাঁর জন্য কিন্তু রাস্তায় নাক ঝেড়ে ফেলাটা জাপানে অত্যন্ত অস্বস্তির কারণ হতে পারে। কারণ কেউই সে কাজকে ভাল চোখে নেবেন না। ফলে তাঁকেই মানুষ বেঁকা চোখে দেখবেন।