টানা ১৫ বছর ধরে আলো বাতাসহীন ঘরে বন্দি থাকার ধকল আর টানতে পারেনি শরীর। তার উপরে বছরের পর বছর প্রায় উপবাসে থাকা। সঙ্গে মা বাবার অনাদর অবহেলা তো ছিলই। মাত্র ৩৩ বছরেই তাই নিভে গেল জাপানের ওসাকা অঞ্চলের বাসিন্দা আইরি কাকিমোতোর জীবনদীপ। গত ২৩ ডিসেম্বর মাত্র ৩৯ বর্গফুটের জানালাহীন ঠান্ডা ঘুপচি ঘরে মৃত্যু হয় কাকিমোতোর। মৃত্যুর সময় তাঁর ওজন ছিল ১৯ কেজির থেকেও কম। অর্থাৎ একটা ৪ বছরের বাচ্চার থেকেও কম।
হবে নাই বা কেন। ১৫ বছর ধরে বদ্ধ ঘরে দমবন্ধ জীবন কাটাতে হয়েছে আইরি কাকিমোতোকে। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার তাঁকে যৎসামান্য খাবার দেওয়া হত। পাইপে করে তাঁকে খাওয়ানো হত জল। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে মৃত যুবতীর মা ইয়ুকারি কাকিমোতো ও বাবা ইয়াসুতাকা কাকিমোতোর বিরুদ্ধে।
তাঁদের দাবি, মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই তাঁকে ঘরের ভিতরে এতদিন বন্দি করে রাখা হয়েছিল। পাশের বাড়িতে তাঁরা থাকেন। সেখান থেকেই রোজ মেয়ের দেখাশোনা করতেন বলে দাবি স্বামী-স্ত্রীর। গত মঙ্গলবার প্রতিবেশিদের অভিযোগ পেয়ে মৃত মহিলার মা বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, একে প্রচণ্ড ঠান্ডা, তার উপরে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ থাকায় ভিতরে অক্সিজেনের অপ্রতুলতা। সঙ্গে খাদ্যাভাবে দুর্বল শরীর। এই চূড়ান্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে আর লড়ে উঠতে পারেননি আইরি। অকালেই শেষ হয়ে গেল তাঁর জীবন।