অন্যদের জোরে ধাক্কা মারাই কাজ, এজন্য মাইনেও পান তাঁরা
অন্যদের ধাক্কা মারাই তাঁদের কাজ। এটাও একটা পেশা। আর এই ধাক্কা মারার কাজের জন্য সঠিক প্রার্থীর চাহিদাও রয়েছে। তাঁরা কেবল ধাক্কা মারার জন্যই মাইনে পান।
কেউ কাউকে ধাক্কা মারলে তা কখনওই ভাল চোখে নেওয়া হয়না। যাঁকে ধাক্কা মারা হল তিনি রেগে যান। পাল্টা ঘুরে দাঁড়ান। কেউ চিৎকার করেন, কেউ আবার রেগে হাতও চালিয়ে দেন। কাউকে ধাক্কা মারাটা আশপাশের মানুষও কখনওই ভাল চোখে নেন না। কিন্তু এই ধাক্কা মারাই যদি কারও পেশা হয়।
মানুষকে ধাক্কা দেওয়াটাই তাঁদের চাকরি। ঠিক মত ধাক্কা না দিতে পারলে চাকরি খোয়াতেও পারেন তাঁরা। সারাদিনে তাঁর কাজ অন্যদের ধাক্কা মারা। সেজন্য তাঁদের মাইনে দিয়ে রাখা হয়।
জাপানের এই পুশারদের দারুণ কদর। পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত শহর টোকিও। দিনের যে সময় ব্যস্ততা তুঙ্গে থাকে তখন মানুষ গন্তব্যে পৌঁছতে সাধারণভাবে মেট্রো ধরে থাকেন।
এই মেট্রোয় তাই এতটাই ভিড় হয় যে বিভিন্ন স্টেশনে মেট্রো রেলের রেকগুলির দরজা বন্ধ হয়না। মানুষ দরজার বাইরে অবধি বেরিয়ে থাকেন। ভিতরের ঠাসা ভিড়ে ঢুকতে পারেননা।
তখন দরকার পড়ে তাঁদের পিছন থেকে ধাক্কা মারার। যাতে সেই ধাক্কায় যাত্রীরা ভিতরে ঠেসে যেতে পারেন। আর দরজা বন্ধ করা যায়। টোকিওর মেট্রো কর্তৃপক্ষ তাই স্টেশনগুলির জন্য পুশার নিয়োগ করে।
তাঁদের কাজ স্টেশনে ট্রেন এলে ধাক্কা দিয়ে যাত্রীদের ট্রেনের মধ্যে কোনওক্রমে ঠেসে ঢুকিয়ে দেওয়া। যাতে দরজা বন্ধ হয়। ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যেতে পারে। এই ধাক্কা মারার কাজ তাঁরা সারাদিন ধরে করেন। এজন্য তাঁরা মাইনে পান। এটাই তাঁদের কাজ।