মানুষ কম, বেড়াল বেশি, ঘুরে আসতে পারেন বেড়াল দ্বীপে
মানুষ ও বেড়ালের সহাবস্থান বহুকাল ধরেই চলে আসছে। সেখানে বেড়ালের সংখ্যা কম হয়। তুলনায় মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হয়। এখানে ঠিক উল্টোটা হয়।
মানুষ যেখানেই বসতি তৈরি করে সেখানে বেড়ালও হাজির হয়। সব বেড়াল যে কারও পোষা হয় তা নয়। অনেক সময়ই রাস্তায় বেড়াল ঘুরতে দেখা যায়। বাড়িতেও লুকিয়ে হানা দেয় তারা খাবারের খোঁজে। তবে বেড়ালকে মানুষ যে একেবারে বরদাস্ত করতে পারেনা তা নয়।
অনেকে বেড়ালকে খাবারও খাওয়ান। কিন্তু পৃথিবীজুড়েই মানুষ ও বেড়ালের এই সহাবস্থানে বেড়ালের সংখ্যাই কম হয়। মানুষের সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি হয়। একমাত্র বেড়াল দ্বীপে ব্যাপারটা একদম উল্টো।
বেড়াল দ্বীপে মানুষের সংখ্যা কম বেড়ালের সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। আর সেটাই এখন পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। যে বেড়াল তাঁরা সারাজীবন দেখে এলেন সেই বেড়ালদের দেখতে বহু মানুষ হাজির হন এই দ্বীপে। অবাক হয়ে দেখেন কীভাবে সর্বত্র বেড়াল আর বেড়াল। মানুষ প্রায় খুঁজেই পাওয়া যায়না।
জাপানের আওশিমা দ্বীপ হল সেই দ্বীপ যা বেড়াল দ্বীপ নামে প্রসিদ্ধ। এই ক্যাট আইল্যান্ড বা বেড়াল দ্বীপের একমাত্র আকর্ষণ হল এখানকার অগুন্তি বেড়াল। এত বেড়াল একসঙ্গে দেখতেই পর্যটকেরা হাজির হন।
এই বেড়ালরা পর্যটকদের থেকে খাবার পায়। ওই দ্বীপে ঘুরেও তারা কিছু খাবার জোগাড় করে। এছাড়া জাপানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেড়ালদের খাওয়ার জন্য খাবার আসতে থাকে।
একটি রিপোর্ট বলছে এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে এই দ্বীপটা পুরোটাই বেড়ালদের দখলে চলে গেছে। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দার সংখ্যা এখন মাত্র ৫ জনে এসে ঠেকেছে।