মানুষ লাগবেনা, প্রয়োজনে চেহারা বদলে আগুন নেভাবে উড়ন্ত ড্রাগন
আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণে দমকলই ভরসা। দমকলের হাতে নতুন প্রযুক্তির যন্ত্রপাতিও রয়েছে। কিন্তু তা আগুনের কাছে পৌঁছে চালাতে হয় মানুষকেই। আগামী দিনে সে কাজ করবে উড়ন্ত ড্রাগন।
আগুন লাগতে পারে। তা দ্রুত নেভাতে না পারলে বড় ক্ষতিও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের জীবন সংশয় হতেই পারে। আগুন যে সবসময় নাগালের মধ্যেই লাগে তাও নয়। এমন জায়গায় আগুন লাগল যেখানে পৌঁছনোই একটা চ্যালেঞ্জ। আবার সেখানে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে বিপদ বাড়বে।
এমন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে অহরহ পড়তে হয় দমকলবাহিনীকে। অনেক সময় আগুন নেভাতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকিও নেন দমকলবাহিনীর সদস্যরা। যদিও তাঁদের হাতে এখন নানা আধুনিক যন্ত্রপাতি এসেছে। কিন্তু মানুষকে সেই যন্ত্র নিয়ে পৌঁছতে তো হয় আগুনের কাছে।
আগামী দিনে অবশ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মানুষের প্রয়োজন কমবে। বিশেষত ধরাছোঁয়ার বাইরে কোথাও আগুন লাগলে সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তৈরি হচ্ছে উড়ন্ত ড্রাগন।
ফ্লাইং ড্রাগন রোবট আগামী দিনে পৌঁছবে সেইসব জায়গায় যেখানে মানুষের পৌঁছনো মুশকিল। আগুনের খুব কাছেও পৌঁছতে তার বাধা নেই, যেখানে মানুষের পক্ষে গিয়ে আগুন নেভানো সম্ভব নয়।
এই রোবটের একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করে তা পরীক্ষা করে দেখেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। এই উড়ন্ত রোবটের গায়ে ও মাথার কাছে জল ছেটানোর ব্যবস্থা থাকবে। যেখান দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৬.৬ লিটার জল বেরিয়ে আসতে পারবে।
এই উড়ন্ত রোবটের সঙ্গে একটি পাইপের সাহায্যে ১৪ হাজার লিটার জলের ট্যাঙ্কের সরাসরি যোগ থাকবে। ফলে রোবটটির আগুন নেভানোর প্রয়োজনীয় জলের ঘাটতি হবেনা।
ফ্লাইং ড্রাগনের সঙ্গে লাগানো থাকবে একটি থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা। যার সাহায্যে অনেক দূরে থেকেও রোবটকে চালনা করতে পারবেন বিশেষজ্ঞেরা। আগুন নেভানো রোবট তার চেহারা বদল করতেও সক্ষম হবে।
তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন আগুন নেভানোর জন্য এই রোবটের সর্বজনীন ব্যবহারে জন্য আরও বছর দশেক সময় লাগবে। এটিকে আরও ভাল করে তোলার লড়াই চালাচ্ছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা