তীব্র ভূমিকম্প, সুনামির জল ঢুকছে শহর গ্রামে, পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
বছরের প্রথম দিনেই তীব্র ভূমিকম্প। সঙ্গে সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ল শহরে গ্রামে। প্রাণ হাতে করে পালাচ্ছেন মানুষজন। প্রশাসনের তরফে সকলকে উঁচু জায়গায় যাওয়ার পরামর্শ।
বছরের প্রথম দিনেই এক তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। এ দেশের মানুষ মাটি কেঁপে ওঠার সঙ্গে অভ্যস্ত। কিন্তু তীব্র কম্পন হলে তো কারও রক্ষা নেই। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬। যাকে অতি তীব্র কম্পন হিসাবেই ধরে নেওয়া হয়। জাপান সাগরের লাগোয়া স্থলভাগে কম্পনের মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি।
অনেক রাস্তাই চৌচির হয়ে ফেটে গেছে। মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালানো শুরু করেন কম্পনের পরই। এদিকে কম্পনের সঙ্গে সঙ্গে মরার ওপর খাঁড়ার গায়ের মত আছড়ে পড়েছে সুনামি।
সমুদ্রের সেই ফেঁপে ওঠা ঢেউ নিয়ে সুনামি আছড়ে পড়ে জাপানের পশ্চিম প্রান্তে। সেখানে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র হুহু করে জল ঢুকতে শুরু করে।
এদিকে তার সঙ্গেই একের পর এক আফটার শক, অর্থাৎ প্রথম তীব্র কম্পনের জেরে আরও বেশ কয়েকবার কম্পন কাঁপিয়ে দিতে থাকে চারধার। সুনামির জল ঢুকছে, মাটি কাঁপছে, এই অবস্থায় প্রাণ হাতে করে মানুষ পালাতে থাকেন।
প্রশাসনের তরফে সকলকে যত দ্রুত সম্ভব উঁচু জায়গায় পালাতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এমনকি সকলকে পালানোর জন্য ছুটতে পরামর্শ দেওয়া হয়। সহজ কথায় যত দ্রুত সম্ভব এলাকা ছাড়তে বলা হয় বাসিন্দাদের।
১.২ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত ফেঁপে ওঠা ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে জাপানের পশ্চিম প্রান্তের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে। অলিগলি দিয়ে জল ছুটতে থাকে। ভাসিয়ে নিয়ে যেতে থাকে সামনে যা পড়ে।
সোমবার পয়লা জানুয়ারির স্থানীয় সময় বিকেল ৪টের পর ভয়ংকর চেহারা নেয় জাপানের পশ্চিম ভাগ। সতর্ক করে সকলকে জানানো হয় ৫ মিটার পর্যন্ত ফেঁপে উঠতে পারে সুনামির ঢেউ।
২০১১ সালের মার্চে হওয়া রিখটার স্কেলে ৯ কম্পন মাত্রার ভূমিকম্প ও তার জেরে সুনামি জাপানে কেড়ে নিয়েছিল প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মানুষের প্রাণ। সেই ভয়ংকর স্মৃতি এদিন তাড়া করতে থাকে জাপানের পশ্চিম প্রান্তের মানুষজনকে। এখনও বিস্তারিত পরিস্থিতি জানতে পারা যায়নি। কতটা ক্ষয়ক্ষতি তাও এখনও পরিস্কার নয়।