হাতেগোনা মানুষের বাস, তবু বাসিন্দায় ভরা থাকে এই গ্রাম
অবাক হওয়ার মতই কথা। এদিকে নাকি হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ বাস করেন এই গ্রামে। আবার এই গ্রাম নাকি ভরা থাকে বাসিন্দায়। কেমন করে এমনটা সম্ভব হল।
এ গ্রামে আগে বহু মানুষের বাস ছিল। মানুষের কোলাহলে গ্রামটি রমরম করত। নানা কাজে ব্যস্ত থাকতেন তাঁরা। কিন্তু সময়ের সরণি বেয়ে ক্রমে মানুষের সংখ্যা কমতে থাকে এখানে। গ্রামের মানুষরা কাজের খোঁজে শহরে পাড়ি দিতে থাকেন। নতুন প্রজন্ম গ্রামে থাকার কথা না ভেবে শহরে ভাল রোজগার ও উন্নত জীবনের খোঁজে গ্রাম ছাড়তে থাকে।
এমনকি যাঁরা শহরে রুজির খোঁজে একবার পাড়ি দিয়েছেন তাঁদের প্রায় কেউই আর গ্রামমুখো হননি। ফলে গ্রামে ক্রমে মানুষ কমতে থাকে। এখন তো হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ রয়ে গেছেন এই গ্রামে।
এই গ্রামেরই বাসিন্দা আইয়ানো নামের মেয়েটি এভাবে ফাঁকা হতে থাকা গ্রাম দেখে মেনে নিতে পারছিলেননা। তিনি তাই স্থির করেন গ্রামের বাসিন্দা তিনি কমতে দেবেন না।
আইয়ানো পুতুল তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। তাই তিনি তাঁর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মতই প্রমাণ আকারের পুতুল তৈরি করতে শুরু করেন। স্থির করেন তিনি গ্রামের যে মানুষকে যে কাজ করতে বেশি দেখেছেন সেখানেই তাঁর পুতুল বসাবেন।
এমন করে গ্রামে ভরা বাসিন্দা। তবে অধিকাংশই পুতুল। তাদের কেউ মাছ ধরছে, কেউ গাছের তলায় বসে অবসর সময় কাটাচ্ছে, কেউ আবার মাঠে কাজ করছে। আর এমনভাবে নানা কাজে ব্যস্ত পুতুলরা।
এভাবেই জাপানের নাগোরো গ্রামকে একেবারে হারিয়ে যেতে দেননি আইয়ানো। এই গ্রাম দেখতে এখন বহু মানুষ হাজির হন। গ্রামের নানা প্রান্ত ঘুরে দেখেন। দেখেন মানুষের মত চেহারার পুতুলরা কত কাজে ব্যস্ত। গ্রাম ভরা রয়েছে বাসিন্দায়।