আপনিও করতে পারেন অরণ্য স্নান, কাজটা খুব সোজা
অরণ্য স্নান শব্দটা একটু অচেনা। তবে আবার অনেকে জেনে হোক বা না জেনে অরণ্য স্নান করে থাকেন। যার উপকার একটা নয়, অনেক।
অরণ্য স্নান শব্দটা শুনে অনেকের মনে হতেই পারে যে বনে জঙ্গলে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে স্নান করা। অরণ্য স্নান কিন্তু একেবারেই তা নয়। বরং অরণ্য স্নান মন ভাল করার জন্য দারুণ উপকারি।
অতি প্রবল গতির দুনিয়ায় মানুষ ছুটছে। দাঁড়াবার সময় নেই। যা ক্রমে মানুষের মধ্যে অবসন্নতা, মানসিক চাপ, অবসাদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। কাজ করছে, রোজগারও হয়তো করছে। কিন্তু মন ভাল নেই।
জাপানে একটি প্রথা আছে এই মন ভাল করার। যাকে জাপানি ভাষায় বলা হয় শিনরিন ইয়োকু। এই শিনরিন ইয়োকু ইংরাজিতে ফরেস্ট বাথিং আর বাংলায় সেটাই অরণ্য স্নান বা বন স্নান।
স্নান শব্দটা থাকলেও এর সঙ্গে স্নানের কোনও সম্পর্ক নেই। সবুজের মাঝে, গাছে ভরা চারধারে মানুষ যদি চুপচাপ শান্ত হয়ে বসে থাকেন, চারধারের শান্ত একাকী প্রকৃতির শোভা দুচোখ ভরে উপভোগ করতে পারেন, তাকেই জাপানিরা বলেন শিনরিন ইয়োকু বা ফরেস্ট বাথিং।
জাপানে এটা একটা মানুষকে সজীব করে তোলা। তাঁর অবসন্ন অবসাদগ্রস্ত মন ভাল করার দারুণ এক উপায়। তাই সেখানে অনেকেই সময় পেলে অরণ্যের মাঝে হাজির হয়ে ফরেস্ট বাথিং করেন।
কেউ কেউ গাছের গায়ে হাত দেন, গাছকে জড়িয়ে ধরেন, গাছের পাতার স্পর্শ অনুভব করেন। এটা মানুষের সব বিষণ্ণতা কাটিয়ে দেয়। জাপানের এই ফরেস্ট বাথিংয়ের এই উপকারের কথা চাপা থাকেনি। এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফরেস্ট বাথিং করতে যান মানুষ। কিছুটা সময় কাটিয়ে আসেন সবুজের মাঝে।