এ কি ভিনগ্রহীদের তৈরি, জলের তলায় সাজানো সৌধ রহস্যই রয়ে গেল
জলের তলায় এমন সাজানো সুন্দর কৃষ্টি তৈরি হল কীভাবে সে প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। অনেকেই মনে করেন এটা ভিনগ্রহীদের কাজ।
সমুদ্রের ৮৫ ফুট নিচে নামলেই তার দেখা মেলে। বিশাল এলাকা জুড়ে তার অস্তিত্ব। বিজ্ঞানীরা এ সৌধ নিয়ে কম গবেষণা করেননি। তাঁরা এটা পরিস্কার করেছেন যে এটি ৫ হাজার বছর পুরনো। কিন্তু তৈরি হল কীভাবে? সে প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি।
পাথরের ধাপ এক এক করে উঠে গেছে। সুন্দর করে সাজানো পাথরের সৃষ্টি। দেখে মনে হবে যেন কোনও তুখোড় শিল্পী মন প্রাণ ঢেলে এই বিশাল শিল্পের সৃষ্টি করেছেন। বিজ্ঞানীরা কিন্তু এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি ‘ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট’ মানুষের সৃষ্টি কিনা।
জাপানের রিউকিউ দ্বীপের দক্ষিণে সমুদ্রের জলের তলায় এই সৌধের কথা খুব বেশিদিন হয়নি জানতে পারা গেছে। ১৯৮৬ সালে এর খোঁজ মেলে। তারপর থেকে এই সৌধ বিজ্ঞানীদের অন্যতম কৌতূহলে পরিণত হয়েছে। কারণ এর অপূর্ব সৃষ্টিশৈলী।
বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করেন এটা মানুষেরই তৈরি। আবার বিজ্ঞানীদের অপর একাংশ মনে করেন এটা মানুষের সৃষ্টি করা নয়। বরং প্রকৃতিই এই অপরূপ সৃষ্টির জন্ম দিয়েছে।
এর বাইরেও একটি মত মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। কিছু মানুষ মনে করেন এটা না তো মানুষের সৃষ্টি, নাই তা প্রকৃতির হাতে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে। বরং এটি তৈরি করেছে ভিনগ্রহীরা।
পৃথিবীতে ভিনগ্রহীদের যাতায়াত নিয়ে এখনও কৌতূহলের অন্ত নেই। যাঁরা মনে করেন ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে আসে, তাঁরাই মনে করছেন জলের তলার ইয়োনাগুনি মনুমেন্ট ভিনগ্রহীদের সৃষ্টি। প্রসঙ্গত এই ইয়োনাগুনি মনুমেন্টকে ‘ইয়োনাগুনি সাবমেরিন রুইনস’ নামেও ডাকা হয়।