World

আহত ৪৭ জন, দৈহিক সম্পর্কের সুযোগ না পেয়ে অবসাদগ্রস্ত ডলফিনই কি দায়ী

সে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে মরিয়া। কিন্তু ডলফিন জগতে সে সুযোগ সে কোনও কারণে পাচ্ছেনা। তাই ৪৭ জনকে রক্তাক্ত করেছে সে। এমনই এক তত্ত্ব সামনে আসছে।

এ বছর নিয়ে ৩ বছর হল। এই সময়টায় সমুদ্রের এই অংশে নামতে এখন ভয় পাচ্ছেন সকলে। নামলে যদি ডলফিন তাঁর ওপর চড়ে বসে! তাঁকে কামড়ে দেয়! ২০২২ সাল থেকে এই বছর, এখনও পর্যন্ত ৪৭ জন কামড় খেয়েছেন ডলফিনের।

প্রথমে তো হাঙর হানা বলে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। পরে পরিস্কার হয় হাঙর নয়, এটা ডলফিনের কাজ। এটাও পরিস্কার ছিলনা এটা একটাই ডলফিনের কাজ, নাকি একাধিক ডলফিন এভাবে মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এক বিশেষজ্ঞ এমন এক দাবি করেছেন যা রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে।


রিওচি মাতসুবারা নামে জাপানের ফুকুইয়ের একটি মিউজিয়ামের ডিরেক্টর আহতদের অভিজ্ঞতা এবং যে কটি ছবি পেয়েছেন তা পরীক্ষা করে দাবি করেছেন এটা একাধিক নয় সম্ভবত একটিই ডলফিনের কাজ।

পুরুষ ডলফিনটি জাপানের মিহামার কয়েকটি সমুদ্রসৈকতে হাজির হওয়া পর্যটকরা স্নানে নামলে তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছিল। এমনকি তাঁদের ওপর চড়ে ঠেলে তাঁদের জলের নিচে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেছিল।


এছাড়া ডলফিনটি যেভাবে সাঁতার কাটা মানুষগুলির দেহে দাঁত বসিয়েছে তাও পরীক্ষা করে রিওচি-র দাবি, ডলফিনটি একাকীত্বের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছে। সে দীর্ঘদিন ধরে মিলন সুখ পায়নি। তাই সে খিদেও চরম পর্যায়ে কাজ করছে।

সে কারণেই সে এভাবে মানুষের কাছে চলে এসেছে। তাদের আক্রমণ করে রক্তাক্ত করছে। এটা রিওচির একটা পর্যবেক্ষণ যা তিনি জানিয়েছেন।

তবে কারণ যাই হোক জাপানের মিহামার সমুদ্রসৈকতগুলিতে মানুষ এখন জলে নামতে ভয় পাচ্ছেন। জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলি তো বটেই, এমনকি বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে এই ডলফিন হানার খরব চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button