তখন মাঝরাত। স্থানীয় সময় রাত ৩টে ৮ মিনিট। গোটা দেশটাই তখন ঘুমে কাদা। এমন সময়ে আচমকাই তীব্র ভূকম্পনে কেঁপে উঠল চারধার। ধরফরিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়েন অধিকাংশ মানুষ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৭। এই মাত্রার কম্পনকে তীব্র কম্পন হিসাবেই ধরা হয়। অনেকেই রাতের অন্ধকারেই ঘুম চোখে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। এদিকে কম্পনের জেরে ধস নামে শহরের বুকে। অনেক জায়গায় একটা বাড়ি পাশের বাড়ির গায়ে হেলে পড়ে। অনেক মানুষ বাড়ির মধ্যেই আটকা পড়ে যান। অনেকে ধসের জন্যও আটকা পড়েন।
ঘটনাটি ঘটেছে জাপানের অন্যতম দ্বীপ হোক্কাইডোতে। কম্পনের জেরে অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। তবে এখনও মৃত্যুর খবর নেই। এদিকে ভূমিকম্পের পরই হোক্কাইডোর সিংহভাগ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। একে ভূমিকম্পে দিশেহারা অবস্থা। তার ওপর বিদ্যুৎ না থাকায় আতঙ্ক আরও ভয়ংকর চেহারা নেয়। তীব্র কম্পন অনুভূত হলেও সুনামি সতর্কতা ছিলনা। তবে কম্পনের পর বেশ কয়েকটা আফটার শক অনুভূত হয়।
অবস্থা বিবেচনা করে কাকভোরেই দফতরে চলে আসেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে। মানুষের জীবন রক্ষা করা তাঁর সরকারের প্রধান কর্তব্য বলে জানান তিনি। আশ্বস্ত করেন আর্ত মানুষদের।